ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় অধিকতর তদন্তের পর সাতজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দিয়েছে পুলিশ। সাতজন হলেন- কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়া, সুইডেনপ্রবাসী সাংবাদিক তাসনিম খলিল, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান, হাঙ্গেরিপ্রবাসী সামিউল ইসলাম খান ওরফে স্যাম ওরফে জুলকার নাইন, আশিক ইমরান ও ওয়াহিদুন নবী।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বুধবার (৮ জুন) আদালতে এ চার্জশিট দেয়।
শুক্রবার (১০ জুন) সিটিটিসির অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, দুই-তিন দিন আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে সাইবারজগতে গুজব ছড়িয়ে আসছিলেন।
এ মামলার তদন্ত শেষে রমনা থানা-পুলিশ গত ৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট দিয়েছিল। এতে আসামি করা হয় কার্টুনিস্ট কিশোর, লেখক মুশতাক আহমেদ ও রাষ্ট্রচিন্তার দিদারুল ভূঁইয়াকে। এসময় ৮ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দী মুশতাক আহমেদ মারা যান। এ কারণে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় জার্মানিপ্রবাসী ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন ও যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সাংবাদিক সাহেদ আলমকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এজাহারভুক্ত আরেক আসামি ফিলিপ শুমাখার প্রকৃত পূর্ণাঙ্গ নাম ও ঠিকানা না পাওয়ায় তাকে অভিযোগপত্রে রাখা হয়নি। অভিযুক্তদের মধ্যে কিশোর, মিনহাজ ও দিদারুল জামিনে মুক্ত আছেন। বাকিদের পলাতক দেখানো হয়েছে।
প্রথম অভিযোগপত্রে কিশোর, মুশতাক ও দিদারুল আসামি। দ্বিতীয় অভিযোগপত্রে মিনহাজ মান্নান, তাসনিম খলিল, সামিউল, আশিক ইমরান ও ওয়াহিদুন নবী অন্তর্ভুক্ত হন।
গত বছরের মে-তে কিশোর, মোশতাক, দিদারুল ও মিনহাজ মান্নানকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান-র্যাব। পরে র্যাব এই চারজনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে।