নিজস্ব প্রতিবেদক : এনামুল-রূপন দুই ভাইসহ চারজনের প্রায় ৮৯ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে করা দুই মামলায় চার্জশিট অনুমোদন করেছে দুদক।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) চার্জশিট অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
অভিযুক্ত চারজন হলেন- রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি (বহিষ্কৃত) এনামুল হক, তার ভাই থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (বহিষ্কৃত) রূপন ভূঁইয়া। এনামুলের দুই সহযোগী হারুনুর রশীদ ও আবুল কালাম আজাদ।
দুদক সচিব বলেন, এক মামলার তদন্তে আসামি এনামুল হকের বিরুদ্ধে ক্যাসিনো কারবারসহ বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ৪৭ কোটি ৩৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৭৮ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া আরও প্রায় ৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনে এনামুলের দুই সহযোগী হারুনুর রশীদ ও আবুল কালাম আজাদের সহযোগিতা করার প্রমাণ মিলেছে।
অন্যদিকে রূপন ভূঁইয়ার নামে স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে ৪২ কোটি ৯৩ লাখ ৯৬ হাজার ৮৭০ টাকার সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৩৭ কোটি ৫৭ লাখ ১৬ হাজার ৯৮৭ টাকার সম্পদের কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি। রূপন ভূঁইয়া ক্যাসিনো কারবার ও বিভিন্ন অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে অবৈধভাবে এ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।
এনামুল ও তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর দুই মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী। এ মামলায় অবৈধভাবে ২১ কোটি ৮৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ছিল।
রূপনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী। রূপন তিনি ১৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ করেছেন।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর এনামুল ও রূপনের বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব। সেখান থেকে টাকা ও গয়না জব্দ করার পর ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের কর্মচারী কালাম ও এনামুলের বন্ধু হিসেবে পরিচিত হারুনের বাসায় অভিযান চালানো হয়। ওই অভিযানে সব মিলিয়ে ৫ কোটি ৫ লাখ টাকা, ৪ কোটি টাকা মূল্যের ৭২০ ভরি স্বর্ণালংকার ও ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করে র্যাব।