নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর গ্রিন লাইফ হাসপাতালের কনসালট্যান্ট (সনোলজিস্ট) ডা. কাজী সাবিরা রহমানের খুনিকে শনাক্ত করতে কোন সূত্রই পাচ্ছে না পুলিশ। পুলিশ বলেছে, এ চিকিৎসকের হত্যাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। তার মুঠোফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরে রহস্য উদ্ঘাটনের কাজ চলমান।
গত ৩০ মে রাতে কলাবাগানে ভাড়া বাসায় খুন হন চিকিৎসক সাবিরা। ৩১ মে সকালে তার রক্তাক্ত ও দগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সাবিরার গলা কাটা, পিঠে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও পোড়া ছিল। এ ঘটনায় করা মামলা কলাবাগান থানা-পুলিশ এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) ছায়া তদন্ত করছে।
সাবিরার ফ্ল্যাটটি ছিল ৩ কক্ষের। একটিতে থাকতেন তিনি। দুই কক্ষে দুই তরুণী থাকতেন। তার পাশের কক্ষে থাকা কানিজ সুবর্ণা মডেলিং করেন। অন্য কক্ষে থাকা তরুণী ঈদের আগে বাড়িতে গিয়ে ঢাকায় ফেরেননি। তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী।
শনিবার (৫ জুন) পুলিশের নিউ মার্কেট অঞ্চলের সহকারী কমিশনার শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান বলেন, সাবিরার স্বজন, সাবলেট কানিজ সুবর্ণা, তার বন্ধু, বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক ও গৃহকর্মী, ভবনের বাসিন্দাসহ ১৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কারো কাছ থেকেই খুনের কোন তথ্য মেলেনি। ভবন ও আশপাশে কোন সিসিটিভি ছিলো না। সাবিরার ফোন ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য সিআইডির কাছে পাঠানো হয়েছে।
শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান বলেন, খুনের আগে গত ৩০ মে সকাল ১০টার দিকে বা তারও আগে সাবিরার কাছে কারা এসেছিলেন, কানিজ তা দেখেননি। তিনি এসময় বাসায় ছিলেন না বলে দাবি করেছেন। কানিজ এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে সাবিরার ভাড়া বাসায় সাবলেটে নেন।
জিজ্ঞাসাবাদে কানিজ পুলিশকে বলেছেন, তিনি ঘটনার দিন সকাল ৬টায় প্রাতর্ভ্রমণে যান। তখন সাবিরার কক্ষের দরজা বন্ধ ছিল। সকাল সাড়ে ৯টায় ফিরে ওই কক্ষ থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন। তিনি দারোয়ানকে ডাকেন। দারোয়ান ডাকেন আরেক নারীকে। পরে মিস্ত্রি দরজার তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন তারা। তখন কক্ষটিতে আগুন দেখতে পেয়ে ফায়ার সার্ভিসে ফোন দেন। ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভায়। সাবিরা বিছানায় উপুড় হয়ে পড়ে ছিল। কানিজ সুবর্ণা কলাবাগান থানা-পুলিশকে খবর দেন। পরে সাবিরার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।