নিজস্ব প্রতিবেদক:
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর দেহরক্ষীর গুলিতে আহত মো. মহিম উদ্দিন মারা গেছেন।
কালিয়াকৈর থানার পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান জানান, ঢাকার সাভারে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) রাত ২টার দিকে তিনি মারা যান।
গত ১৬ এপ্রিল রাতে জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার কুতুবদিয়া গ্রামে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের দেহরক্ষী পুলিশ সদস্য কিশোর কুমারের গুলিতে মো. শহিদ নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। সে সময় গুলিবিদ্ধ হন শহিদের বন্ধু মহিম উদ্দিন। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে এনাম মেডিকেলে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসা চলাকালে তিনি মারা যান।
ঘটনার পর গত শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) সকালে কিশোরের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহত শহিদের স্ত্রী। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করে। করোনাভাইরাসের কারণে আদালত বন্ধ থাকায় এখনও শুনানি হয়নি।
এদিকে, হত্যাকাণ্ডের সময় কালিয়াকৈর থানার ওসি আলমগীর হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, “মন্ত্রীর গানম্যান এএসআই কিশোর ও তার স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দাম্পত্য কলহ চলছিল। কিশোরের সন্দেহ তার স্ত্রীর সঙ্গে মহিম উদ্দিনের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে, যা পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে। কিশোর ও মহিমের মধ্যে বন্ধুত্ব ছিল।"
জানা যায়, ঘটনার দিন কিশোর আড্ডা দেওয়ার জন্য মহিমকে ফোন করে। সেই মোতাবেক মহিম তার বন্ধু শহিদকে নিয়ে কালিয়াকৈর উপজেলার কুতুবদিয়া গ্রামের একটি পতিত জমিতে গিয়ে কিশোরের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে।
রাত পৌনে ১০টার দিকে কিশোর মোটরসাইকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে পিস্তল দিয়ে অতর্কিতে তাদের উপর এলোপাতাড়ি গুলি চালায়।
ঘটনাস্থলেই শহিদ বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। সে সময় মহিম গুলিবিদ্ধ হলে তাকে এনাম মেডিকেলে নেওয়া হয়।