সান নিউজ ডেস্ক : দেশের সীমানায় কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে অভিনব কৌশলে দেশে আসছে মাদক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, মাদক থেকে দেশকে বাঁচাতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন জনসম্পৃক্ততা। সীমান্ত দিয়ে মাদক কারবার বন্ধে আরো কঠোর হওয়ার পরামর্শ পুলিশের।
মাদকের কারবার বন্ধে প্রতিনিয়ত চলছে অভিযান। তবুও নিত্য নতুন কৌশলে মাদক পরিবহণ ও ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে অপরাধী চক্র। মাদক কারবারে জড়িয়ে যাচ্ছে পণ্যবাহী ট্রাকসহ যাত্রীবাহী পরিবহণ সংশ্লিষ্টরাও।
সম্প্রতি টেকনাফ থেকে পেটে মাদক নিয়ে ঢাকায় ফেরার পথে, গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে এক দম্পতি। তাদের হাসপাতালে নিয়ে এক্স-রে করে পাকস্থলিতে মেলে ইয়াবা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পেটে বয়ে আনা ইয়াবা পায়ুপথে বের করে, তা বিক্রি করা হয়।
আটককৃত নারী জানান, 'ওইখানে হোটেলে উঠেছিলাম, সকালে উঠলাম বিকেলের মধ্যে কাজ শেষ করে আমরা আবার বাসে উঠলাম।'
আটককৃত পুরুষ জানান, 'আমাদের বলার পর আমরা আগ্রহী হই। পিছুটান আছে কিছুটা। আমাদের প্রতি পিসে ১০ টাকা করে দিয়েছে।'
পুলিশ বলছে, প্রতিনিয়ত অভিযান চালালেও, এতে জনগণ সম্পৃক্ত না হলে মাদকের কারবার নির্মূল সম্ভব নয়।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, 'ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৯ ধারায় স্পষ্ট বলা আছে কোন সাধারণ নাগরিকের সামনে যদি কগনিজিবল অফেন্স বা ধর্তব্য অপরাধ সংগঠিত হয়, তবে ওই নাগরিক ওই অপরাধীকে ধরবেন, ধরে নিকটবর্তী থানায় নেবেন বা নেয়ার ব্যবস্থা করবেন। ইয়াবা বা মাদক আইটেম একটা ধর্তব্য অপরাধ।'
মাদক কারবারি ধরতে স্থানীয় পুলিশ সহযোগিতা না করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান, পুলিশের এই কর্মকর্তা। মশিউর রহমান আরো জানান, 'থানা পুলিশ বা পুলিশের কোন ব্যক্তি কোন অপরারগতা বা অসহযোগিতা করলে সেই পুলিশের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবং এটার ব্যাপারে আমাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একেবারে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন।'
ফেন্সিডিল, ইয়াবার মতো মারণঘাতী মাদক পাশের দেশগুলো থেকে সীমান্ত দিয়ে ঢুকে ছড়ায় সারাদেশে। তাই সীমানা নজরদারিতে আরো কঠোর হওয়ার পরামর্শ পুলিশের।
সান নিউজ/এসএম