নিজস্ব প্রতিবেদক : ছিনতাইকৃত মোবাইল ফেরত এবং আটকের উদ্দেশ্যে ছিনতাইকারীকে জাপটে ধরেছিলো কলেজছাত্র জিসান হাবিব (১৮)। সেটাই কাল হলো তার। জাপটে ধরার সময় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে প্রাণ দিতে হলো এই শিক্ষার্থীকে। জিসানের সঙ্গে থাকা রুহুল আমিন (১৭) নামে আরেক স্কুলছাত্র আহত হয়।
রাজধানীর আব্দুল্লাহপুরে বুধবার (৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টায় এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তপন চন্দ্র সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, খুন হওয়া জিসান হাবিবের বাড়ি নোয়াখালী সোনাইমুড়ি উপজেলার বিহেরগাঁও গ্রামে। তার বাবা আবুল বাশার সৌদি প্রবাসী। স্থানীয় খলিলুর রহমান ডিগ্রি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক প্রথমবর্ষের ছাত্র ছিল সে। আর রুহুল আমিন ধামরাইয়ের ইসলামপুরে ইকরা মডেল হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র। তার বাড়ি ধামরাইয়ের পাঠানতলা এলাকায়।
৭ নভেম্বর জিসান নোয়াখালী থেকে ধামরাইয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। বুধবার রাতে ফুপু আসমা বেগমের সৌদি যাওয়ার ফ্লাইট ছিল। জিসান আর রুহুল আমিন তাকে বিমানবন্দর পৌঁছে দিয়ে ক্লাসিক পরিবহনের একটি বাসে করে নবীনগর ফিরছিল।
বাসটি আবদুল্লাপুরে এসে থেমেছিল। সে সময় জানালার পাশে থাকা জিসানের হাত থেকে এক ছিনতাইকারী তার মোবাইলটি ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তখন বাস থেকে নেমে জিসান ও রুহুল ছিনতাইকারীকে জাপটে ধরে ফেলে। এসময় ছিনতাইকারীরা জিসানকে ও রুহুলকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জিসানকে মৃত ঘোষণা করেন। জিসানের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
সান নিউজ/এস