নিজস্ব প্রতিনিধি, গাজীপুর : গাজীপুরে চলন্ত বাসে চকলেট বিক্রেতা এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় বাসটির চালককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। শনিবার (৭ নভেম্বর) রাতে কালিয়াকৈরের ভান্নারা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে বলে ওই কিশোরীর দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়।
গ্রেপ্তার সাদ্দাম হোসেন (২২) শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার বাগতা এলাকার সুরুজের ছেলে। তিনি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বাসন এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে যাত্রীবাহী বাস ‘তাকওয়া পরিবহন’ চালান।
এই ঘটনায় রোববার সকালে ওই কিশোরী জয়দেবপুর থানায় বাসটির চালক সাদ্দাম হোসেন ও সহকারী শরীফ হোসেনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
জয়দেবপুর থানার ওসি মো. জাবেদুল ইসলাম বলেন, এই কিশোরীর (১৬) বাড়ি জামালপুরে। ঢাকার আশুলিয়ায় ভাড়া বাসায় থেকে যাত্রীবাহী বাসে ফেরি করে চকলেট বিক্রি করেন।
মামলার বরাত দিয়ে তিনি বলেন, শনিবার রাত ৯টার দিকে চকলেট বিক্রির উদ্দেশ্যে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা বাসস্ট্যান্ডে যান মেয়েটি। সেখানে পূর্বপরিচিত শরীফ হোসেন ও সাদ্দাম হোসেন তাকে বেড়ানোর কথা বলে বাসে তোলেন। পরে বাসটি যাত্রী নিয়ে চান্দনা চৌরাস্তায় যায়। সেখান থেকে যাত্রী নামিয়ে খালি বাসে মেয়েটিকে নিয়ে কালিয়াকৈর পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় পৌঁছে মধ্যরাতে; সেখানে তারা মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।
“এই সময় মেয়েটির চিৎকার শুনে টহল পুলিশ এগিয়ে গেলে তারা মেয়েটির মুখ বেঁধে ফেলে এবং বাস ছুটিয়ে পালাতে থানে। চলন্ত বাস এক পর্যায়ে মৌচাক দিয়ে ভান্নারার রাস্তায় ঢোকে। এই সময় শরীফ হোসেন তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।”
ওসি বলেন, এরপর বাসটি গাজীপুর সদর উপজেলার ভাওয়াল মির্জাপুর হয়ে জয়দেবপুরের মেম্বারবাড়ী বাসস্ট্যান্ডের কাছে পৌঁছলে জয়দেবপুর থানার টহল পুলিশ বাসটি থামায়। এই সময় শরীফ পালিয়ে গেলেও চালক সাদ্দাম ধরা পড়েন। বাসের ভেতর থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। ওসি আরও জানান, মেয়েটিকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শরীফকে গ্রেপ্তার করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে।
সান নিউজ/পিডিকে