নিজস্ব প্রতিনিধি, লালমনিরহাট : লালমনিরহাটের পাটগ্রামে এক তরুণীকে (১৮) ধর্ষণের অভিযোগে রবি মিয়া (১৮) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাটগ্রাম থানায় ভিকটিম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। অভিযুক্ত রবি মিয়া পাটগ্রাম উপজেলার জোংরা ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রামের আব্দুল আলীম মিয়ার ছেলে।
মামলার এজাহারে প্রকাশ, পাটগ্রাম উপজেলার এক তরুণী একই উপজেলার কুচলিবাড়ি ইউনিয়নের কেরারটারী গ্রামে বোনের বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখানে বুধবার সন্ধ্যায় তার বোন ও বোন জামাই বাড়িতে না থাকার সুযোগে বোন জামাইয়ের প্রতিবেশী ভাতিজা রবি মিয়া ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। সেসময় মেয়েটির বোন বাড়িতে এসে তাকে উদ্ধার করেন এবং অভিযুক্ত ধর্ষক রবি পালিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে পাটগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী।
পাটগ্রাম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত বলেন, ভিকটিম তার বোন জামাইসহ থানায় এসে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগটি আমলে নিয়ে নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গত ৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় লালমনিরহাটগামী আন্তঃনগর করতোয়া এক্সপ্রেস ট্রেনে কাউনিয়ার উদ্দেশে রওনা হয় ওই কিশোরী। ট্রেন কালীগঞ্জের কাকিনা স্টেশনে দাঁড়ালে ওই কিশোরী নাস্তা করতে নামে। সে সময় রকি (২২) নামে এক যুবক কিশোরীর কাছে জানতে চান সে কোথায় যাচ্ছে। তখন মেয়েটি তাকে কাউনিয়া যাচ্ছে বলে জানায়। রকিও নিজেকে কাউনিয়ার বাসিন্দা বলে পরিচয় দেন। এরই মধ্যে ট্রেন স্টেশন থেকে ছেড়ে গেলে রকি অটোরিকশায় করে কাউনিয়া যাবেন এবং সেই অটোরিকশায় মেয়েটিকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। প্রতিশ্রুতি মোতাবেক একটি অটোরিকশায় রকি ওই কিশোরীকে নিয়ে কাউনিয়া যাওয়ার কথা বলে বিভিন্ন সড়ক ঘুরে মধ্য রাতে একটি সেচ পাম্পের নির্জন ঘরে নিয়ে যান। সেখানে রকি ও তার তিন বন্ধু মিলে কিশোরীকে গণধর্ষণ করেন।
মেয়েটি গত ৯ অক্টোবর কালীগঞ্জের কাকিনায় গণধর্ষণের অভিযোগ তুলে ইউপি সদস্যসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে একটি গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেছিলেন। যা দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচিত হয়। থানায় এসে প্রথম দিকে সেই ঘটনাটি অস্বীকার করলেও পরে তা স্বীকার করেছেন ওই তরুণী। তবে এ মামলার পলাতক আসামি রবিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
সান নিউজ/পিডিকে/এস