নিজস্ব প্রতিনিধি, সাভার : সাভার পৌর এলাকার একটি মহল্লায় গত বুধবার ভোরে ১২ বছর বয়সী এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। স্থানীয়ভাবে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলে বিষয়টি সামনে আসে। পরে বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) রাতে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় একটি মামালা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন-বরিশাল জেলার অগৈলঝড়া থানার নিজামুদ্দিন (৩০) ও তার বাড়ির মালিক শরিফুল ইসলাম (৩৩)। ভুক্তভোগী পরিবারসহ শরিফুলের বাড়িতেই বসবাস করে।নিজামুদ্দিন সরদার ওরফে মিজান পেশায় গাড়িচালক এবং তাকে সহায়তা করা শরিফুল ইসলাম এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত। মামলা দায়েরের পর থেকে তারা পলাতক আছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, শরিফুলের বাড়ির তিনতলায় পরিবারসহ বসবাস করে ভুক্তভোগী। নিজামুদ্দিনের সঙ্গে তার বড় বোনের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু নিজামুদ্দিনের চরিত্র ভালো না হওয়ায় তিন মাস আগে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়। এরপর থেকে নিজামুদ্দিন নানাভাবে তার সাবেক শালী ও তার পরিবারকে ক্ষতি করার চেষ্টা করছিলেন।
গত বুধবার ভোরে ওই কিশোরী নিজের ঘর থেকে বের হলে নিজামুদ্দিন পেছন থেকে তার মুখ চেপে ধরে নিজের ঘরে নিয়ে যায়। এ সময় বাড়ির মালিক শরিফুল ওই ঘরে ছিলেন। তারা দুজন কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে মিমাংসার কথা বলে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন তারা দুজন। কিন্তু এ ঘটনায় থানায় ভুক্তভোগীর বাবা মামলা দায়ের করলে তারা পালিয়ে যান।
সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এবং উপপরিদর্শক (এসআই) হামিদুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তারা জানান, নিজামুদ্দিন ও শরিফুলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ভুক্তভোগীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
সান নিউজ/পিডিকে/এস