নিজস্ব প্রতিনিধি, গাজীপুর : মাদ্রাসায় ভর্তির কথা বলে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ফুসলিয়ে আড়াই মাস গোপন কক্ষে আটকে রেখে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগ পাওয়া গেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। আসাদুজ্জামান (৩৫) নামে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১ সদস্যরা। সে খুলনা জেলার কসবা উপজেলার উত্তর বেতকাশি গ্রামের মোবারক আলীর ছেলে।
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টায় গাজীপুরের দক্ষিণ সালনা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) সকালে ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। র্যাব-১ গাজীপুর পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের ইনচার্জ লে. কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
লে. কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, পরিবারকে ফুসলিয়ে গত ২ আগস্ট মেয়েটিকে গাজীপুর মহানগরের দক্ষিণ সালনা এলাকা থেকে শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ী ইউনিয়নের ধলাদিয়ায় নিয়ে আসে ওই শিক্ষক। পরে ধলাদিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি না করে ওই এলাকার একটি গোপন কক্ষে আটক রেখে আড়াই মাস ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ এবং ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে আসছিল সে।
ভিকটিমের বাবা বিভিন্ন সময় ওই শিক্ষকের মোবাইল ফোনে তার মেয়ের খোঁজ-খবর জানতে চাইলে সে জানায়, মেয়ে ভালো আছে এবং লেখাপড়া নিয়ে অনেক ব্যস্ত। আড়াই মাস চলে যাওয়ার পরও মেয়ে বাড়িতে না আসায় বাবার সন্দেহ হয়। মেয়েকে দেখার জন্য ধলাদিয়া মহিলা মাদ্রাসায় গিয়ে তিনি জানতে পারেন ওই মাদ্রাসায় তার মেয়েকে ভর্তি করা হয়নি।
তিনি জানতে পারেন, ওই শিক্ষক তার মেয়েকে ধলাদিয়া এলাকায় একটি গোপন কক্ষে আটক করে জীবননাশের হুমকি দিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে আসছে। পরে বাবা মেয়েকে উদ্ধারের জন্য র্যাব-১ গাজীপুর পোড়াবাড়ী ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে সহযোগিতা চান।
এরপর র্যাব সদস্যরা অভিযান চালিয়ে গাজীপুরের দক্ষিণ সালনা এলাকা থেকে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শ্রীপুর উপজেলার ধলাদিয়ার একটি তালাবদ্ধ গোপন ঘর থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তি ধলাদিয়া মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষক এবং তার স্ত্রী ও দুটি ছেলে রয়েছে। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।