নিজস্ব প্রতিনিধি, সিলেট : সিলেটে ২ ভয়ঙ্কর সাইবার প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৯ সদস্যরা। ইতিমধ্যে তারা প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তারা হলো মো. মামুন মিয়া (২০) ও আফজাল হোসেন রিমন (২০)। তাদের অপর সহযোগীকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরতলীর মুরাদপুরের র্যাব-৯ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানান অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু মুসা মো. শরীফুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সিলেটে একটি সাইবার প্রতারকচক্র ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাকের মাধ্যমে প্রবাসী, বিত্তশালী ও প্রতিষ্ঠিতদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে প্রতারণার মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতো। প্রতারিতদের কাছ থেকে এমন অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে র্যাব-৯।
নজরদারী ও গভীর তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় র্যাবের একটি দল নগরীর চৌকিদেখিতে অভিযান চালিয়ে প্রতারকচক্রের প্রধান মামুন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। সে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার থানার মান্নারগাঁও গ্রামের মিরাশ আলীর ছেলে। সিলেট নগরীর চৌকিদেখি এলাকায় ভাড়াটে হিসাবে বসোবাস করছে।
মামুনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী দুপুর ১১টার দিকে সুনামগঞ্জ থেকে আফজাল হােসেন রিমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে একই এলাকার গোপালপুরের বশির উদ্দিনের ছেলে। চক্রের অপর সদস্য দোয়ারাবাজারের বসরপুর গ্রামের তফসির উদ্দিনের ছেলে জাবেরকে (২৯) গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মামুন জানিয়েছে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ঘেটে এবং ইউটিউব থেকে হ্যাকিং বিষয়ক ভিডিও দেখে দেখেই সে হ্যাকিং শিখে। এরপর বিত্তশালীদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ফ্রেন্ড লিস্ট পর্যবেক্ষণ করে আইডি'র মূল মালিকের আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুর কাছে অতি প্রয়োজন, সমস্যা বা দরিদ্রদের চিকিৎসার কথা বলে টাকা চাইতো এবং বিকাশের মাধ্যমে সে টাকা আনিয়ে নিতো। পরে রিমন ও জাবেরের মাধ্যমে বিভিন্ন বিকাশ পয়েন্ট থেকে টাকা তুলে আত্মসাত করতো। এভাবে প্রতারণার টাকায় উন্নত জীবনযাপন করতে চেয়েছিল তারা।
তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানিয়েছেন র্যাব-৯ এর অধিনায়ক।
সান নিউজ/এক/এস