নিজস্ব প্রতিবেদক : নিম্নমানের চিকিৎসা সরঞ্জাম ও নকল এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে গ্রেপ্তার জেএমআই গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রাজ্জাকের জামিন আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (০৮ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে রিমান্ড শেষে আসামি রাজ্জাককে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুদকের উপপরিচালক মোহা. নুরুল হুদা তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী তার জামিন আবেদন করেন। এসময় রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। পরে আদালত জামিন আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর আদালত আব্দুর রাজ্জাকের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একইদিন রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাকে গ্রেপ্তার করে।
এর আগে কমিশনের উপ-পরিচালক নুরুল হুদা গত ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ রাজ্জাকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) সাবেক উপ-পরিচালক ডা. জাকির হোসেন, সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. শাহজাহান, ডেস্ক অফিসার জিয়াউল হক ও সাব্বির আহমেদ, স্টোর অফিসার কবির আহমেদ ও জ্যেষ্ঠ স্টোর কিপার মো. ইউসুফ ফকির।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজেরা লাভবান হওয়ার আশায় ও অন্যকে লাভবান করার অসৎ উদ্দেশ্যে প্রকৃত এন-৯৫ মাস্কের পরিবর্তে জেএমআই ফেস মাস্ক মুদ্রিত বড় কার্টুনের মধ্যে এন-৯৫ ফেস মাস্ক মুদ্রিত ছোট বক্সে ২০ হাজার ৬১০ পিস নকল এন-৯৫ মাস্ক সরবারাহ করেন এবং পরবর্তীতে ১০টি প্রতিষ্ঠানে মাস্ক বিতরণ করেন।