নিজস্ব প্রতিবেদক :
সিলেটে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ধর্ষণের ঘটনায় তারেকুল ইসলাম তারেক নামে আরও এক আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে জেলার দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের গরমা গ্রামের আলী হোসেন নামে তার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে এ ঘটনায় সাইফুর রহমান, মাহমুদুর রহমান রনি, অর্জুন লস্কর, রবিউল হাসান, মাহফুজুর রহমান মাসুম, রাজন, আইনুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু তারেক দাঁড়ি ও চুল ফেলে পালিয়ে ছিলো তারেকুল ইসলাম। তাকে কিছুতেই গ্রেপ্তার করা যাচ্ছিল না। পরে মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে জেলার দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের কাওয়াজুড়ি গ্রামের সমছু মিয়ার স্ত্রী ও ছেলে বদরুলকে আটক করে র্যাব-৯। এরপর সন্ধ্যায় জগদল ইউনিয়নের গরমা গ্রামের আলী হোসেনের বাড়িতে চুল দাঁড়ি কেটে আত্মগোপনে থাকা আসামি তারেককে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-৯’র অতিরিক্ত পুলিশ সামিউল আলম গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তারেককে র্যাব-৯’র সিলেট কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। এ নিয়ে মামলায় এজাহারনামীয় ৬ আসামিসহ মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, এমসি কলেজের প্রধান ফটক থেকে তাদের জিম্মি করে যারা ধরে নিয়ে আসেন তাদের মধ্যে তারেকুল ইসলাম তারেকও ছিলেন। এসময় নির্যাতিত দম্পত্তির প্রাইভেট কারের দখল নেন তারেক। তিনি প্রাইভেট কার চালিয়ে তাদের ছাত্রাবাসে নিয়ে আসেন। এরপর ধর্ষণ ও নির্যাতনেও অংশ নেন তারেক। শুক্রবারের এই ধর্ষণের ঘটনায় শনিবার ওই তরুণীর স্বামী শাহপরান থানায় মামলা দায়ের করেন।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন ওই তরুণী। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর কাছ থেকে ওই তরুণীকে জোর করে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে বেঁধে রাখা হয়।