নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর: বাকপ্রতিবন্ধি তরুণী রত্নাকে (১৮) ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে আসামি হাবিবুর রহমান খাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। মামলার তিন আসামির মধ্যে অন্য দুজন মন্টু ও ইকবাল খালাস পেয়েছেন।
নিহত ও আসামিরা সবাই যশোর সদর উপজেলার সালতা গ্রামের বাসিন্দা। দণ্ডপ্রাপ্ত হাবিবুর রহমান আবুল কাশেম খাঁ’র ছেলে। খালাসপ্রাপ্ত মন্টু ইশারত আলী শেখের ছেলে ও ইকবাল ইব্রার ছেলে। নিহত রত্না শহর আলী শেখের মেয়ে।
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) টিএম মুসা এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বাকপ্রতিবন্ধি রত্না গ্রামের একটি বাড়িতে কাজ করতেন। হাবিবুর রহমান খাঁ ও মন্টু ২০১৭ সালের ২৮ মে দুপুরে ওই বাড়ি থেকে তাকে ডেকে নিয়ে গ্রামের বুড়ো মার জঙ্গলের কাছে নিয়ে যান। বিষয়টি দেখতে পেয়ে ওসমানপুর গ্রামের খায়রুল শেখ তাদের কাছে মেয়েটিকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে, তা জানতে চান। তারা জানান, ‘এক ঘন্টা পর এসে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো।’ কিন্তু এরপর সময়মতো মেয়েটি ফিরে না আসায় খায়রুল শেখ ঘটনাটি তার বাবাকে জানান। খবর পেয়ে শহর আলী শেখ তার মেয়ে এবং হাবিবুর রহমান খাঁ ও মন্টুকে খোঁজাখুঁজি করেন। তিনদিন পর একই গ্রামের মেজের মোল্যার কবরস্থানে রত্নার মরদেহ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় হাবিবুর রহমান খাঁ ও মন্টুকে আসামি করে নিহতের বাবা আদালতে মামলা করেন। আদালতের আদেশে একই বছরের ২ জুলাই কোতয়ালি থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। এরপর তদন্ত শেষে পুলিশ ওই দুজনসহ ইকবালকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।