নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিলেটে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে নববধূকে গণধর্ষণ মামলার আরও দুই আসামি ছাত্রলীগ নেতা শাহ্ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫) ও রবিউল ইসলামকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ নিয়ে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার মোট চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হল।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থেকে শাহ্ মাহবুবুর রহমান রনিকে গ্রেপ্তার করে র্যাবের একটি বিশেষ অভিযানিক দল। অন্যদিকে জেলার নবীগঞ্জ উপজেলা থেকে রবিউলকে গ্রেপ্তার করে হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ।
শাহ্ মাহবুবুর রহমান রনিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট র্যাব-১০-এর মিডিয়া অফিসার এএসপি ওবাইন এবং রবিউলকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হবিগঞ্জ পুলিশের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
গ্রেপ্তার মাহবুবুর রহমান রনি হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার বাগুনিপাড়া গ্রামের শাহ্ জাহাঙ্গীরের ছেলে এবং রবিউল ইসলাম দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর (জগদল) গ্রামের বাসিন্দা।
এর আগে রোববার সকালে সুনামগঞ্জ থেকে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে আটক করে পুলিশ। এছাড়া একই সময় হবিগঞ্জের মাধবপুর সীমান্ত থেকে অর্জুন লস্করকে আটক করে সিলেট গোয়েন্দা পুলিশ।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিকেলে ২০ বছরের এক তরুণী তার স্বামীকে নিয়ে সিলেটের এমসি কলেজের ক্যাম্পাসে ঘুরতে যান। রাত সাড়ে ৮টার দিকে কয়েকজন বখাটে তরুণী ও তার স্বামীকে জোরপূর্বক কলেজ ছাত্রাবাসে তোলে নিয়ে যায়। পরে স্বামীকে গাড়িতে আটকে রেখে ৫/৬ জন মিলে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। রাত ১০টার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদেরকে উদ্ধার করে। পরে গুরুত্বর আহত অবস্থায় ওই তরুণীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি করেন।
শুক্রবার রাতে ছাত্রলীগ নেতা এম. সাইফুর রহমানের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসের রুমে অভিযান চালিয়ে ১টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৪টি রামদা, ১টি ছুরি ও জিআই পাইপ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় শনিবার সকালে শাহ পরান থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া বিষয়টি তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৭ কার্যদিবসের মধ্যে এই কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে ছাত্রাবাসের দুই নিরাপত্তাকর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।