নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফরিদপুর: ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের ফুকুরহাটি গ্রামের এক কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণের দায়ে একই গ্রামের পিয়াস মিয়াকে (২১) যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের হাকিম মো. আলমগীর কবির এ রায় দেন।
রায়ের সময় এ মামলার একমাত্র আসামি পিয়াস মিয়া আদালতে হাজির ছিলেন। রায়ের পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
২০১৭ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে জেএসসির পরিক্ষার্থী ওই কিশোরী নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের উঁচা বাজার এলাকায় কোচিং সেন্টার থেকে পড়া শেষে বাড়ি ফিরছিল। পথে ফুকুরহাটি মিয়া বাড়ির সামনে এলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা বখাটে পিয়াস ওই কিশোরীকে তার উড়না মুখে পেচিয়ে রাস্তার পাশের শোন ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করেন । কিশোরী চিৎকার দিলে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে পিয়াস মিয়া পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় পরদিন ২৪ সেপ্টেম্বর ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে পিয়াসকে একমাত্র আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ভাঙ্গা থানায় মামলাটি করেন।
ওই বছরের ২৬ নভেম্বর এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আজাদ আসামি পিয়াসের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেন।
ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি স্বপন কুমার পাল বলেন, আদালত সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে পিয়াসের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। তিনি বলেন, জরিমানার টাকা আসামিকে পরিশোধ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে অনাদায়ের কোনো সুযোগ নেই।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে এ মামলার বাদিনী ওই কিশোরীর মা বলেন, ‘আমি এ রায়ে সন্তুষ্ট। আমরা ন্যয়বিচার পেয়েছি।’
সান নিউজ/ এআর