নিজস্ব প্রতিবেদক:
পৃথক দুই মামলায় অবৈধ অস্ত্র ও জাল টাকাসহ গ্রেপ্তারকৃত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক আবদুল মালেক বাদলের ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
অবৈধভাবে বিপুল সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ থাকা এই আসামির মামলা দুটির তদন্তকারী কর্মকর্তা তুরাগ থানার এসআই রুবেল শেখ সাতদিন করে ১৪ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু ওই ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন। আসামির পক্ষে অ্যাডভোকেট জিএম মিজানুর রহমান রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন জানান। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।
শুনানি শেষে সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলামের আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে ১৪ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
অবৈধ অস্ত্র, জালনোট ব্যবসা ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) ভোরে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে গাড়িচালক আবদুল মালেক ওরফে ড্রাইভার মালেককে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ বাংলাদেশি জাল নোট, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইলফোন জব্দ করা হয়।
রাজধানীর তুরাগে গাড়িচালক আবদুল মালেকের রয়েছে ২৪টি ফ্ল্যাটবিশিষ্ট সাত তলার দুটি বিলাসবহুল বাড়ি। একই এলাকায় রয়েছে ১২ কাঠার প্লট। এছাড়া হাতিরপুলে ১০তলা ভবনের নির্মাণকাজ চলছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, অধিদপ্তরের কর্মচারী হলেও মালেক ছিলেন প্রভাবশালী। তিনি অধিদপ্তরের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর নিয়োগ-বদলি নিয়ন্ত্রণ করতেন। তার কথামতো কর্মকর্তারা কাজ না করায় তাদের নানাভাবে হয়রানি বা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। মালেক একজন তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী হলেও নিজে ব্যবহার করতেন পাজেরো গাড়ি। এছাড়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যেসব চালক আছেন তাদের তেল চুরির টাকার বেশিরভাগই মালেকের পকেটে যেতো। রাতারাতি বিপুল টাকার মালিক বনে যান। এসব টাকা দিয়ে মালেক ঢাকা শহরে একাধিক আলিশান বাড়ি, ফ্ল্যাট তৈরি ছাড়াও ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ টাকা রেখেছেন।
সান নিউজ/ বিএম/ এআর | Sun News