নিজস্ব প্রতিবেদক:
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে দুদকের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলাটির এজাহারভুক্ত সম্পত্তি জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে প্রদীপের জামিন আবেদনও না মঞ্জুর করেছেন।
রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ বিশেষ ও মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।
এই মামলার আসামি প্রদীপ কুমার দাশের স্ত্রী চুমকি কারণ পলাতক আছেন।
দুদকের আইনজীবী কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আসামির পক্ষে আগের দিন জামিন আবেদন করা হয়েছিল। ওই আবেদনের শুনানি শেষে আদালত নামঞ্জুর করেন। আমরা আসামির এজাহারভুক্ত সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করেছি, আদালত তা মঞ্জুর করেছেন, প্রসেস হয়ে গেছে। এখন সেই সম্পত্তি জব্দে আর কোনো বাধা নেই।‘
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার পাথরঘাটা এলাকায় প্রদীপ কুমার দাশ ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে একটি ছয়তলা ভবন গড়ে তুলেছেন। যা গোপন করার জন্য ভবনটি তার শ্বশুরের নামে নির্মাণ করেন বলে উল্লেখ করা হয়। পরবর্তীতে ভবনটি প্রদীপের স্ত্রীকে দান করেন শ্বশুর। দানপত্র দলিল হলেও ভবনটি প্রদীপ দাশ ও তার স্ত্রী চুমকির অর্জিত বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
আয়কর রিটার্নে আসামি চুমকির কমিশন ব্যবসা এবং বোয়ালখালী উপজেলায় ১০ বছরের জন্য লিজ নেওয়া পাঁচটি পুকুরে মাছের ব্যবসার যে আয় দেখানো হয়েছে তাও স্বামী প্রদীপ দাশের অপরাধলব্ধ অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের উদ্যেশ্যে ভুয়া ব্যবসা প্রদর্শন করে দেখানো হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করে দুদক।
রোববার আদালতে জামিন আবেদনের শুনানি হলেও আসামি প্রদীপ কুমার দাশকে আদালতে আনা হয়নি। তিনি কক্সবাজার কারাগারে আছেন বলে দুদকের আইনজীবী জানিয়েছেন।
সান নিউজ/ বিএম/ এআর | Sun News