মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় কোদাল দিয়ে কুপিয়ে বৃদ্ধকে হত্যার ঘটনায় শহিদুল ইসলাম ওরফে জহিরুল (৪০) নামের এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুবর্ণচরে ৯ কেন্দ্রের ভোট পুনরায় গণনার দাবি
রোববার (১২ মে) দুপুরে মুন্সীগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন ঊর্মি এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের (এপিপি) মো. সিরাজুল ইসলাম পল্টু।
রায়ের সময় আদালতে আসামি হাজির ছিলেন না। জামিনে যাওয়ার পর থেকে দীর্ঘদিন যাবত আসামি পলাতক রয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শহিদুল ইসলাম ওরফে জহিরুল ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট থানার নড়াইল গ্রামের আলাউদ্দিন ওরফে সিদ্দিক সাহার ছেলে। অপরদিকে নিহত ওরশেদ আলী (৬৫) মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বাঘরা নয়াবাড়ি মাগডাল গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: গোসলে নেমে প্রাণ গেল শিক্ষার্থীর
মামলার সূত্রে জানা যায়, আবর্জনা ফেলা নিয়ে নিহতের সাথে প্রতিবেশী বিপ্লব ডাক্তারের বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে বিপ্লব ডাক্তারের বাড়ির কাজের লোক আসামি শহিদুল ইসলাম ওরফে জহিরুল গত ২০১২ সালের ৯ জুন সকাল সাড়ে ১০ দিকে নিহত ওরশেদ আলী বাড়ির পাশে আমগাছের নিচে পাটি বিছিয়ে তার ছেলে জাহাঙ্গীরকে (১১) সাথে নিয়ে বসে ছিল।
এ সময় আসামি জহিরুল তাকে তার হাতে থাকা গোবর ফেলার কোদাল দিয়া গলা লক্ষ্য করে ৩টি কোপ মেরে শ্বাসনালী কেটে ফেলে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান ওরশেদ।
আরও পড়ুন: আইএলওর সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হচ্ছে
পরে এ ঘটনা নিহতের ভাতিজার বউ লাকি আক্তার দেখে ফেললে তাকে আসামি কোদাল নিয়ে মারতে যায়। হত্যার পর আসামি বিপ্লব ডাক্তারের বাড়ি যাওয়ার পথে গ্রামবাসী তাকে আটক করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আসামিকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করে। পরে নিহতের স্ত্রী রহিমা বিবি শ্রীনগর থানায় মামলা দায়ের করেন।
রায়ের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের (এপিপি) অ্যাডভোকেট মো. সিরাজুল ইসলাম পল্টু বলেন, আসামি গ্রেফতারের পর আদালতে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের ৯ জন সাক্ষী উপস্থাপনের মাধ্যমে সাক্ষ্য প্রদান করলে আদালত সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। আমরা এ রায়ে খুশি।
সান নিউজ/এনজে