জেলা প্রতিনিধি: হবিগঞ্জে কারাগার ফটক এলাকায় কেরাম খেলায় সিগারেটের ধোয়া ছাড়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ২ বন্ধু নিহত
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাত ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত মাস্টার বাড়ি ও মোল্লা বাড়ির লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষে ৭ পুলিশসহ অর্ধশত লোক আহত হয়েছে। পরে সদর মডেল থানা পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয়রা বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় ধুলিয়াখাল পয়েন্টের কারাগার ফটক এলাকায় কেরাম খেলায় বসে মাস্টার বাড়ির আলমগীর ও সেলিম এবং মোল্লাবাড়ির শাহিন ও সাবেক ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিনের লোকজন। খেলা চলাচলে একটি পক্ষ সিগারেটের ধোয়া ছাড়ে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে মাস্টার বাড়ির আলমগীর, সেলিম ও তানভীর এবং মোল্লাবাড়ির শাহিন ও সাবেক ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। দেড় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে ইট পাটকেল নিক্ষেপে পিকআপ ভ্যান ও মোটরসাইকেলসহ কয়েকটি গাড়ি ও দোকানপাট ভাংচুর করা হয়। এতে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এসময় উভয় পক্ষের সংঘর্ষে সদর থানার এসআই আবু জাবেরসহ ৭ পুলিশ এবং অর্ধশত নারী-পুরুষ আহত হন।
আরও পড়ুন: দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
গুরুতর আহত অবস্থায় রুবিনা আক্তার (৩০), আব্দুল শহিদ (৪৫), জাবেদ মিয়া (৩০), আল মামুন (৩০), নাজিমুদ্দিন (৩০), সফিক মিয়া (৩৫), এসআই আবু জাবের (৪৪), রবিউল হাসান (১৯), শিমুল (২৫), মিজবাহুল হাসান (১৮), ফখরুল ইসলাম (১৮), রাজু মিয়া (৩৬), শরীফুল মিয়া (২৮), আনোয়ার (৩০), সাজ্জাদ হোসেন (২৬), উজ্জ্বল মিয়া (১৭), শামসুর রহমান (৩৫) ও মিতু মিয়াকে (২৫) সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
সান নিউজ/এএন