কামরুজ্জামান স্বাধীন, উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের উলিপুরে মাদরাসায় জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: ঈদে নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে মানুষ
উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের পশ্চিম কালুডাঙ্গা দক্ষিণ পাড়া এবতেদায়ী ও নূরাণী তালিমুল কোরআন মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
জমির মালিক আমীন উদ্দিন ওই মাদরসার নামে ৫ শতক জমি দান করলেও ৩৩ বছর পর তার ছেলে রফিকুল ইসলাম (৫০) সেই জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম উলিপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: বাড়তি ভাড়া নিলে সেই পরিবহন বন্ধ
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৫ সালে পশ্চিম কালুডাঙ্গা দক্ষিণ পাড়া এবতেদায়ী ও নূরাণী তালিমুল কোরআন মাদরাসাটি মসজিদের জায়গায় প্রতিষ্ঠত হয়।
পরবর্তীতে আমীন উদ্দিন ১৯৯১ সালের ১২ ডিসেম্বর ওই মাদরাসার নামে পশ্চিম কালুডাঙ্গা মৌজার জেএল নং ৯৮ এর ৪৩৬ নং ও খতিয়ানের ১৫৪২ নং দাগের দুই প্লটের ৫ শতাংশ জমি দান করেন। দলিল নং- ১১১০৪।
এরপর মসজিদ থেকে পৃথক হয়ে ওই জমির উপর মাদরাসার অবকাঠামো নির্মিত হয়ে মাদরাসাটি পরিচালিত হয়ে আসছে। মাদরাসার জমিদাতা আমীন উদ্দিনের মৃত্যুর ৩০ বছর পর গত ফেব্রুয়ারি মাসে তার ছেলে রফিকুল ইসলাম মাদরাসায় তার বাবার দান করা জমি দখল করার জন্য মাদরাসার সীমানায় ঘর নির্মাণ করতে আসেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে ছেলের হাতে বাবা খুন
এ অবস্থায় মাদরাসার পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে ৯৯৯ ফোন দিয়ে অভিযোগ করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত করে কাগজপত্র দেখে বিষয়টি সমাধান করার আশ্বস্ত করেন।
স্থানীয় গৃহবধূ বিজলী বেগম জানান, আমার বিয়ে হয়ে এসে দেখেছি এখানে মাদরাসা রয়েছে। এলাকার ছেলে-মেয়েরা এখানে আরবি পড়ে। আমার মেয়ে বেবি নাজনীন (২০) এই মাদরাসায় পড়ালেখা করেছে। তার বিয়ে দিয়েছি। এখন শুনছি, জমি ফেরত নিয়ে মাদরাসা বাতিল করে নাকি বাড়ী নির্মাণ করবে।
সত্তরোর্ধ্ব বেলাল উদ্দিন জানান, এতদিন মাদরাসা চলছে, ঝগড়া-বিবাদ কিছু নাই। হঠাৎ কি হলো, পুলিশ আসার পর থেকে ভয়ে ছেলে-মেয়েরা মাদরাসায় পড়তে আসতে চায় না। এখন ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি খুব কম।
আরও পড়ুন: আরও ১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩১
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার বাবা এবতেদায়ী মাদরাসার জন্য জমি দান করেছেন (দলিলে উল্লেখ আছে)। এখানে কোনো এবতেদায়ী মাদরাসা নেই। দীর্ঘদিন মাদরাসা পরিচালিত না হওয়ায় আমি ওই জায়গায় ঘর নির্মাণ করেছিলাম। মাদরাসার কমিটির লোকেরা আমার ঘর ভেঙে নিয়ে গেছে।
উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মর্তুজা বলেন, মাদরাসা পরিচালা কমিটির পক্ষ থেকে ৯৯৯ ফোন পাওয়ার পর সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে দুই পক্ষকে শান্ত করা হয়েছে। পরবর্তীতে মাদরাসার ওই জায়গা নিয়ে কোর্টে মামলা হয়েছে।
সান নিউজ/এনজে