গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধায় কোনো নিয়মের তোয়াক্কা না করেই গড়ে উঠেছে অবৈধ ইটভাটা। কৃষিজমি, জনবসতি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছে এসব ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে। এসব ইটভাটায় পরিবেশ অধিদফতরের নেই কোনো অনুমোদন।
আরও পড়ুন: মর্টার শেলের শব্দে টেকনাফ সীমান্তে আতঙ্ক
এছাড়া নেই প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্রও। এসব ইটভাটা প্রতিনিয়ত পরিবেশ দূষণ করছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে কৃষিসহ জীববৈচিত্র্য। বিপন্ন হয়ে পড়েছে পরিবেশ ও ফসলের মাঠ। পাশাপাশি বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি।
এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে পরিবেশ সংশ্লিষ্টরাসহ সচেতন মহল। এসব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। তবে জনবল সংকটের কারণে অভিযান চালাতে হিমশিম খাচ্ছে পরিবেশ অধিদফতর।
এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, গাইবান্ধার ১৭৩টি ভাটার মধ্যে ১৫৬টিই অবৈধ। এছাড়া আইন অমান্য করে এসব ইটভাটায় জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে কাঠ। এতে পরিবেশের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
আরও পড়ুন: পোস্তগোলা সেতুতে যান চলাচল শুরু
সচেতন মহল বলেন, কৃষিজমির টপ সয়েলই হচ্ছে ইটভাটাগুলোর মাটির উৎস। যার কারণে একদিকে হাজার হাজার একর জমি পতিত হয়ে কৃষি খাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কমছে কৃষিজমি।
কৃষক আব্দুর রহিম বলেন, প্রশাসন সাময়িক জরিমানা করলে বা চিমনি ভেঙে দিলেও কয়েক দিনের মধ্যেই আবারও ইটভাটা প্রস্তুত হয়ে যায়। এসব ইটভাটার ছাইমিশ্রিত ধোঁয়া আম, কাঁঠাল, লিচুর মুকুল ও রবি শস্যের ব্যাপক ক্ষতি করছে।
এ ব্যাপারে গাইবান্ধার পরিবেশ অধিদফতর বলছে, অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সম্প্রতি একটি ইটভাটার মালিক ও ম্যানেজারকে কারাদণ্ড দিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অভিযান আরও জোরদার করা হবে।
সান নিউজ/এনজে