নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে দুই ইন্টার্ন চিকিৎসক চিকিৎসাধীন রোগীর ছেলেকে শারীরিকভাবে নির্যাতনের ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তদন্ত কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শরীর গঠনে ক্রীড়ার বিকল্প নেই
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া দুই ইন্টার্ন চিকিৎসক হলেন- ফরহাদ হাসান ও আলমগীর হোসেন। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা বরখাস্ত থাকবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএফএম শামীম আহম্মদ জানান, তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
প্রসঙ্গত, বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কক্ষে রিপনকে মারধরের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী রিপনের বাড়ি রাজশাহী মহানগরীর বোসপাড়া মহল্লায়। রিপনের মা পিয়ারা বেগম (৬০) গত শুক্রবার থেকে ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের রোগী ছিলেন।
এর আগে ‘আর মাইরেন না স্যার, আর মাইরেন না। আমাকে বের করে দেন, আমাকে বের করে দেন স্যার। আমার আম্মু মরি যাবে স্যার।’ সুমন পারভেজ রিপনের (২৮) এমন আকুতির ১ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
সান নিউজ/এএন