ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ে শুরু হয়েছে আবহমান বাংলার শতিকালনি পিঠা উৎসব। বুধবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় এই পিঠা উৎসবের।
আরও পড়ুন : বাসের ধাক্কায় এএসআই নিহত
গ্রামবাংলার হাজার বছরের ঐতিহ্যের অন্যতম অংশ বাহারি পিঠাপুলির আয়োজন বাঙালি সংস্কৃতির বিশেষ অনুষঙ্গ। মাঘের হাড়কাঁপানো শীতের সন্ধিক্ষণে কালের স্রোতে হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন মুখরোচক পিঠাকে তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে ও সবার কাছে পরিচিত করে তুলে ধরেছে আয়োজকরা।
বাঙালি জাতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে পিঠাপুলি। আধুনিকায়নসহ নানা কারণে বর্তমান প্রজন্ম অনেক পিঠাপুলির সঙ্গেই আজ অপরিচিত। এমন অনেক পিঠাপুলি আছে যা আমাদের সমাজ থেকে একেবারে হারিয়ে যাচ্ছে। এই উৎসবে পিঠার এই বিশাল সম্ভারে জানা-অজানা পিঠার সঙ্গে পরিচিত হতে পেরে খুশি অনেকেই।
আরও পড়ুন : ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-লুটপাটের অভিযোগ
চারদিকে সাজানো ইস্টলে হরেক রকমের বাহারি পিঠাপুলি রং বেরঙের পিঠার মধ্যে ছিল নকশি পিঠা, পৌকান পিঠা,চিতই পিঠা, রস পিঠা, ভাপা পিঠা, পাটি সাপটা, পাতা পিঠা,গুড়িয়া সহ নানা পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেছেন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা।
তবে এবারের পিঠা উৎসবে অন্যান্য নারী উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি জাতীয় আদিবাসী পরিষদের নারীরাও অংশগ্রহণ করেছে তাদের বানানো পিঠা নিয়ে।
আরও পড়ুন : চীনা দূতাবাসের শীতবস্ত্র বিতরণ
পিঠা উৎসবে আসা অনেকেই জানান এসব পিঠার মধ্য থেকে বেশকিছু পিঠা আমরা আগে খেয়েছি। বাকি অনেক পিঠা আজ প্রথম দেখলাম। খেয়ে অনেক ভালো লাগছে তাদের। পিঠার নাম মনে রাখতে পারে না। তাই আমরা বাস্তবে তাদের পিঠার সঙ্গে পরিচিত হলাম। এতে তারা বাঙালির ঐতিহ্য সমৃদ্ধ নানা রকম পিঠার স্বাদ গ্রহণ করতে পেরেছে।
গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী এই পিঠা উৎসবে সুস্বাদু ও মুখরোচক পিঠা খেতে বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসেন সব বয়সের মানুষ। জানা-অজানা হরেক রকমের পিঠা খেয়ে এরকম একজনের ধন্যবাদ জানান তারা।
এরপর সন্ধ্যায় লোউও সংগীত ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন : দুই সন্তানসহ স্ত্রীকে হত্যা
এই বিষয়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার জাকির হোসেন জানান জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে শিল্পকলা একাডেমি ঠাকুরগাঁওয়ে পিঠামেলার আয়োজন করেছে। এখানে যারা অংশগ্রহণ করেছে তাদের অনেকের মধ্যে নারী উদ্যোক্তা রয়েছে। তবে এবার আদিবাসীরা এই পিঠা উৎসবে অংশগ্রহণ করেছে।
বিগত কয়েক বছর আগে স্থানীয়ভাবে আমরা এই উৎসবটির আয়োজন করেছিলাম এবারও জাতীয় পর্যায়ে সারা দেশব্যাপী হচ্ছে। আশা করি আমাদের এই সংস্কৃতিক বান্ধব সরকার যেভাবে আমাদের শিল্প সংস্কৃতির উপর পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছেন আশা করি আমরা সামনে আরও বড় পরিসরে এই পিঠা উৎসবটি আয়োজন করতে পারব।
আরও পড়ুন : ভাবির ভিডিও নিয়ে দেবর গ্রেফতার
এতে অংশ নেন প্রায় ৩৫ জন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা। বুধবার বিকেলে এই উৎসব শুরু হয় এবং চলবে শুক্রবার পর্যন্ত।
সান নিউজ/এমআর