নিজস্ব প্রতিবেদক:
মুন্সীগঞ্জ: লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে নদীভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙনে হুমকির মধ্যে রয়েছে নতুন রো রো ফেরিঘাট এলাকা।
শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে শুরু হওয়া তৃতীয় দফার এ ভাঙনে একটি রেস্টেুরেন্টসহ প্রায় ২০০ বর্গফুট এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
এ নিয়ে শিমুলিয়া ফেরিঘাটটি চলতি বছরে তৃতীয়দফায় ভাঙনের কবলে পড়ল।
শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) শিমুলিয়া ঘাটে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রো রো ফেরি ঘাট সংলগ্ন পশ্চিম পাশে ধীরগতিতে ভেঙে চলেছে ঘাট এলাকা। মাঝে মাঝে বড় আকারের মাটির চাক ভেঙে পড়ছে নদীতে। ক্রমেই নদীঘাট এলাকা ভেঙে ভেতর দিকে ঢুকে পড়ছে। পদ্মাসেতুর কনস্ট্রাকশন এলাকার পূর্বপাশের সাইড ওয়াল ঘেঁষে গড়ে ওঠা কিছু বসতবাড়ি হুমকির মুখে পড়ায় তারাও বাড়ির ঘর ভেঙে ট্রলারে করে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছেন।
বিআইডব্লিউটিএ’র শিমুলিয়া ঘাটের বন্দর কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন খান জানান, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে আকস্মিক নদীভাঙন শুরু হয়। এতে রো রো ফেরিঘাটের পশ্চিম পাশের বেশ কিছু জায়গা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। একটি খাবার হোটেল পদ্মার গ্রাসে নদীগর্ভে চলে গেছে। বিলীন হয়েছে প্রায় ২০০ বর্গফুট এলাকা। দ্বিতীয় দফা ভাঙনের পরে নতুন করে তৈরি করা রো রো ফেরিঘাটটিও আবার তৃতীয়বারের মতো ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে। তবে ভাঙন রোধে বিআইডব্লিউটিএ বালুর বস্তা ফেলতে শুরু করেছে।
শিমুলিয়া ঘাটের বিআইডব্লিউটিসি’র এজিএম মো. শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, রো রো ফেরিঘাটের পাশের ভাসমান ওয়ার্কসপ সংলগ্ন এলাকায় পদ্মার আকস্মিক ভাঙনে একটি রেস্টেুরেন্ট বিলীন হলেও এখন ততটা ঝুঁকির মধ্যে নেই ফেরিঘাট। তবে ভাঙন অব্যাহত থাকায় নতুন করে তৈরি করা ৩নং রো রো ফেরি ঘাটটি হুমকির মধ্যে রয়েছে। এখনই জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে ফেরি চলাচলে আবারো অচলবস্থা দেখা দিতে পারে।
গত কোরবানির ঈদের সময় দুই দফা পদ্মার ভাঙনে শিমুলিয়া ঘাটের ৩নং রো রো ফেরিঘাট ও ভিআইপি ফেরিঘাটটি সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যায়। পরে বালুর বস্তা ফেলে ৩নং রো রো ফেরি ঘাটটি পুনরায় চালু করা হয়।
সান নিউজ/ আরএইচ/ এআর