জেলা প্রতিনিধি: শীতে ফরিদপুরের হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে শিশুরা। গত মাসের চেয়ে হাসপাতালে বেড়েছে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা।
আরও পড়ুন: অভিনব কায়দায় ছিনতাই, আটক ২
ফরিদপুরের প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, জেলার তাপমাত্রা ‘অস্থিতিশীল’ অবস্থায় রয়েছে। যার প্রভাব পড়ছে মানুষের জীবযাত্রাসহ শিশুদের ওপর। গত ১২ জানুয়ারি ফরিদপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১.২ ডিগ্রি, ১৩.১৩ ডিগ্রি ও ১৪ জানুয়ারি ১২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফরিদপুরে এবার মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় ২৩ জানুয়ারি। এছাড়া অন্য সবদিনের তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ১৪ থেকে সর্বোচ্চ ২৩ এর মাঝামাঝি উঠানামা করছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে এক বছরে ২৬ কুষ্ঠরোগী শনাক্ত
ফরিদপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া কার্যালয়ের ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম জানান, শীতের তীব্রতা ফরিদপুরে আগামী ২/৩ দিন একইরকম থাকবে।
১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৯২৩, জেনারেল হাসপাতালে ৪১১ এবং শিশু হাসপাতালে ১ হাজার ৬৬ জনসহ মোট ২ হাজার ৫০০টির মতো শিশুকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ফরিদপুর মেডিকেলে ৭১টি, জেনারেল হাসপাতালে একটি ও শিশু হাসপাতালে ৩৬টিসহ মোট ১০৮টি শিশু মারা গেছে এই জানুয়ারি মাসে।
আরও পড়ুন: অভিনব কায়দায় ছিনতাই, আটক ২
ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) গনেশ কুমার আগরওয়ালা জানান, শীতের তীব্রতা কমে গেলে শিশুদের ওপর নতুন করে আরেকটি ধাক্কা আসতে পারে। এজন্য আগে থেকে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।
সান নিউজ/এএন