রংপুর ব্যুরো: গত সপ্তাহখানেক ধরে রংপুর মহানগরীসহ উত্তরের ৮ জেলায় ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবি ও খেটে খাওয়া মানুষ। ফলে এ অঞ্চলের হতদরিদ্র, শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষসহ চরাঞ্চলের বাসিন্দারা সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: অক্সফোর্ড মডেল কলেজে পিঠা উৎসব
এদিকে শীত নিবারণের জন্য রংপুর নগরীসহ জেলা ও উপজেলা শহরগুলোতে ফুটপাতে বেশ জমে উঠেছে পুরনো গরম কাপড়ের বিক্রি। অভিজাত কাপড়ের দোকানগুলোতেও ভিড় বাড়ছে ক্রেতাদের। গরম কাপড়ের চাহিদার কারণে দোকানগুলোতে বিক্রি বেড়ে গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সোয়েটার, জ্যাকেট, হুডি, ব্লেজার, শাল, মাফলার, কানটুপি ও হাত মোজার কদর প্রতিদিনই বাড়ছে। রংপুর নগরীর ছালেক মার্কেট, জামাল মার্কেট ও হনুমানতলা এরশাদ হর্কাস মার্কেটসহ বিভিন্ন বিপনী বিতানে গিয়ে দেখা গেছে, সোয়েটার, জ্যাকেট, হুডি, ব্লেজার, শাল, মাফলার বেশি বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে ২ দিনব্যাপী শীতবস্ত্র বিতরণ
সেই সাথে কানটুপি ও হাত-পা মোজারও চাহিদা অনেক। ঠান্ডা থেকে সুরক্ষার জন্য গরম কাপড়ের পাশাপাশি হাত ও কানটুপির বিকল্প নেই। এছাড়া মাঙ্কি টুপি, মাফলার টুপি, ক্যাপের মতো টুপি, ঝোলা টুপিসহ বিভিন্ন ধরনের টুপি বিক্রি হচ্ছে।
উলের তৈরি বিভিন্ন রঙ এবং সাইজের টুপিও বিক্রি হচ্ছে। অনেকে আবার পোশাকের সাথে মিল রেখে লাল, সাদা, সবুজ, কালো, খয়েরি ও নীল রঙের টুপি কিনছেন। ২০০-৭০০ টাকা পর্যন্ত একটি টুপি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ৪-১ হাজার টাকায় সোয়েটার ও জ্যাকেট বিক্রি হচ্ছে। চাদরের চাহিদাও রয়েছে যথেষ্ট।
আরও পড়ুন: ফের টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস
এদিকে নগরীর স্টেশন বাজার, সাতমাথা ও কাচারী বাজার এলাকায় বিভিন্ন ফুটপাতে পুরাতন কাপড়ের দোকানেও ভিড় বেড়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুর থেকে পুরাতন কাপড়ের বান্ডিল বা বস্তা ক্রয় করে রংপুর নগরীসহ এ অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় এসব গরমের কাপড় বিক্রি করেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। পুরাতন কাপড়ের দাম কম। তাই নিম্নআয়ের মানুষ কম দামে এসব কাপড় কিনছেন।
শ্রমজীবি আশরাফুল আলম বলেন, পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানে এসেছি। এই ঠান্ডায় কাজ করতে পারছিনা। তাই কম দামে একটি জ্যাকেট কিনলাম।
নগরীর স্টেশন এলাকার পুরাতন কাপড় ব্যবসায়ী সবুজ মিয়া বলেন, গত কয়েকদিন থেকে এই এলাকায় কনকনে শীত নেমেছে। তাই গরম কাপড়ও বিক্রি হচ্ছে বেশ।
আরও পড়ুন: ফের বাড়লো পেঁয়াজের দাম
টুপি ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে রংপুরে অনলাইন টুপির চাহিদা বেশি। আগে এই টুপি দেড়শ টাকায় বিক্রি হলেও এখন দুই থেকে আড়াই’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন ফ্যাশনেবল টুপি ৫০০-৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান জানান, শীত মোকাবিলায় সবধরনের প্রস্তুতি রয়েছে জেলা প্রশাসনের। এরই মধ্যে নগরীর ৩৩ ওয়ার্ডসহ জেলার ৮ উপজেলা ও ৩ পৌর এলাকায় সরকারিভাবে প্রথম পর্যায়ের ৪৬ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে ও দ্বিতীয় পর্যায় ১৩ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। শীত মোকাবিলায় আরও ২৫ হাজার পিস কম্বলের চাহিদা সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সান নিউজ/এনজে