নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনা: রাষ্ট্রায়ত্ব সকল পাটকল অবিলম্বে চালু, দুর্নীতি-লুটপাট-ভুলনীতি বন্ধ ও আধুনিকায়ন, শ্রমিকদের সকল পাওনা অবিলম্বে পরিশোধসহ ১৪ দফা দাবিতে গণমিছিল ও সমাবেশ করেছে পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ।
সমাবেশ থেকে আগামী রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল চারটায় পিপলস গোল চত্বরে সংহতি সমাবেশ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
বুধবার (০৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় খুলনার খালিশপুর শিল্পাঞ্চলে প্লাটিনাম জুটমিল গেট থেকে গণমিছিল শুরু হয়ে ক্রিসেন্ট ও খালিশপুর জুটমিল হয়ে নতুন রাস্তার মোড়ে শেষ হয়।
সেখানে সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের সদস্য সচিব এসএ রশীদের পরিচালনায় আহ্বায়ক অ্যাড. কুদরত-ই-খুদার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন সিপিবি’র কেন্দ্রীয় সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, ডা. মনোজ দাশ, অ্যাড. আ ফ ম মহসিন, মোজাম্মেল হক, জনার্দন দত্ত নাণ্টু, আনিসুর রহমান মিঠু, মুনীর চৌধুরী সোহেল, এইচএম শাহাদাৎ, আব্দুল করিম, মিজানুর রহমান বাবু, অ্যাড. মো. বাবুল হাওলাদার, মোস্তফা খালিদ খসরু, কাজী দেলোয়ার হোসেন, শরীফ শফিকুল হামিদ চন্দন, মাহবুবুর রহমান খোকন, ডা. মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু, আফজাল হোসেন রাজু, কোহিনুর আক্তার কণা, অ্যাড. নিত্যানন্দ ঢালী, প্রভাষক জয়ন্ত মুখার্জি, সামশেদ আলম শমশের, নজরুল ইসলাম মল্লিক, জালাল মোল্যা, মেহেদী হাসান বিল্লাল, অলিয়ার রহমান, নূরুল ইসলাম, নাজিম উদ্দিন জয়, আবুল হাসেম, জসিম গাজী, হামজা গাজী, আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার, আব্দুল্লাহ ফয়সল, শামস শারফিন, গোবিন্দ বৈদ্য, মো. ইসমাইল, নাসিমা আক্তার, মোলাম মোস্তফা, আল আমিন, অনীক ইসলাম, সৌরভ সমাদ্দার, কৃষ্ণেন্দু বাছাড় ও আক্তার আনিকা প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকার রাষ্ট্রায়ত্ব ২৫টি পাটকল বন্ধ করে দিয়ে স্থায়ী, বদলি ও দৈনিক ভিত্তিক প্রায় ৭০ হাজার শ্রমিককে বেকার করে তাদের পরিবারকে অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিয়েছে। যে দুর্নীতি ও ভুলনীতির কারণে এসব মিলগুলো লোকসান হয়েছে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে তার দায় শ্রমিকদের ওপর চাপিয়ে দিয়ে প্রায় ২৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদ দেশীয় লুটপাটকারী ও পাটপণ্যের বাজার ভারতের হাতে তুলে দিতেই সরকার পাটকলগুলো বন্ধ করেছে।
নেতারা আরও বলেন, কোনোভাবেই এসব মিল পিপিপি, লিজ বা ব্যক্তিমালিকানায় দেওয়া চলবে না। শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের (স্কপ) প্রস্তাবনা অনুসারে মাত্র এক হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিকায়ন করতে হবে। একইসঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত ও কর্মরতসহ সকল শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা এককালীন পরিশোধ করতে হবে।
অবিলম্বে দাবি মেনে না নিলে আগামীদিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন নেতারা।
সান নিউজ/ এআর