আব্দুর রাজ্জাক সরদার, কেশবপুর প্রতিনিধি: যশোর জেলার কেশবপুরে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০০ তম জন্মবাষির্কী উপলক্ষে মহাকবির জন্মভূমি যশোরের কেশবপুর উপজেলার কপোতাক্ষ নদের তীরবর্তী সাগরদাঁড়িতে লাখো লাখো মানুষের আগমনে ৯ দিনের মধুমেলায় ছিল উৎসবের এক অনন্য আমেজ।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে হেরোইন উদ্ধার
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সাগরদাঁড়ির মধুমঞ্চ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ মধুমেলা -২০২৪ এর সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
সমাপনী দিনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যের আকাশে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। কালজয়ী এ সাহিত্যিকের লেখায় ফুটে উঠেছে বাঙালি জাতির স্বজাত্যবোধ মনোভাব। মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা ভাষায় মহাকাব্য রচনা এবং বাংলা কবিতায় অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রবর্তনের পথিকৃৎ। বিশ্ব সাহিত্যের ভান্ডারে প্রবেশ করে সাহিত্যের মণি-মুক্তা আহরণ করে তিনি বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন।
এছাড়াও মহাকাব্য, নাটক, প্রহসন, সনেট, ট্রাজেডিসহ সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় তার অমর সৃষ্টি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে প্রতিষ্ঠিত করেছে মর্যাদার আসনে।
আরও পড়ুন: ট্রাক চাপায় শ্রমিক নিহত
সমাপনী অনুষ্ঠানে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সভাপতি ও যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাসান মজুমদারের সভাপতিত্বে মধুমঞ্চে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন যশোর-৬ কেশবপুর সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য মোঃ আজিজুল ইসলাম, যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোনেন,কেশবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব কাজী রফিকুল ইসলাম, যশোর পৌরসভার মেয়র হায়দার গনি পলাশ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ডিসোমিনেশনঅফ নিউ কারিকুলাম, স্কিম এর উপ পরিচালক ড. কুদরত-ই-হুদা ও আবু শারাফ সাদেক কারিগরি কলেজের প্রভাষক কানাইলাল ভট্টাচার্য।
সমাপনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মধুসূদন জন্মবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তুহিন হোসেন।
মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও যশোর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে কপোতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাঁড়িতে গত ১৯ জানুয়ারি মেলা শুরু হয় এবং শেষ হয় ২৭ শে জানুয়ারি।উপচে পড়া ভিড় ছিল মধু মেলায় আগত মধুপ্রেমী দর্শনার্থীদের।
সান নিউজ/এএ