আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি: বেশির ভাগ দরজা-জানালা ভাঙা। পলেস্তারা খসে পড়ছে। দেয়ালজুড়ে শেওলা। ছাদে বেড়ে উঠেছে অপ্রয়োজনীয় উদ্ভিদ। ঘরে বিষধর সাপ, বিচ্ছুর বাসা। বাইরে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। সীমানা প্রাচীরে ঘেরা পরিত্যক্ত এ বাসভবনে এখন সুনসান নীরবতা। সন্ধ্যা হলেই বসে এখানে মাদকসেবীদের আড্ডা। চলে অনৈতিক কর্মকাণ্ড। এ চিত্র নাগেশ্বরী উপজেলার ১৭ বিএস কোয়ার্টারের।
আরও পড়ুন : অটোরিকশার ধাক্কায় শিশু নিহত
১৯৮৮-’৯৬ সালের মধ্যে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের বসবাসের জন্য গণপূর্ত বিভাগ উপজেলায় ১৭টি ভবন নির্মাণ করে। এর মধ্যে নাগেশ্বরীতে ২টি, সন্তোষপুর ইউনিয়নে ২টি, রামখানায় ২টি, নেওয়াশীতে ২টি, রায়গঞ্জে ২টি, হাসনাবাদে ৩টি, বেরুবাড়ীতে ১টি, বল্লভেরখাস ইউনিয়নে ১টি, নুনখাওয়ায় ১টি, নারায়ণপুর ইউনিয়নে ১টি। প্রতিটি ভবনে রয়েছে দুটি পরিবারের বসবাসের ব্যবস্থা।
ভবনগুলোতে এক সময় ব্লক সুপার ভাইজাররা পরিবার নিয়ে বসবাস শুরু করেন। চালাতেন দাপ্তরিক কার্যক্রম। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় ভবনগুলো বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। কর্মকর্তারা কোয়ার্টার ত্যাগ করে অন্য জায়গায় বসবাস করতে থাকেন। এখন সেখানে দীর্ঘদিন কেউ না থাকার সুযোগে কিছু অসাধু মানুষ দরজা-জানালার কাঠ, ঘরের মূল্যবান সামগ্রী এমনকি দেয়ালের ইটও খুলে নিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন : ট্রেনে কাটায় এনজিওকর্মীর মৃত্যু
কৃষি অফিসের একাধিক কর্মকর্তা জানান, 'ভবনগুলো সংস্কার না করায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বাইরে থাকতে হচ্ছে। দাপ্তরিক কাজ চালাতে সমস্যা হয়। তারা ভবনগুলো বাসযোগ্য করার দাবি জানান। '
সিনিয়র উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন জানান, 'কোয়ার্টারগুলো দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দ্রুত সংস্কার করে বাসযোগ্য করলে এখানে কৃষি কর্মকর্তারা পরিবার নিয়ে বসবাস করতে পারবেন। এতে ওই কর্মকর্তাদের কাজে গতি আসবে।'
সান নিউজ/এমআর