নিজস্ব প্রতিবেদক:
বরিশাল: বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার আটিপাড়ায় বাস-অ্যাম্বুলেন্স-কাভার্ডভ্যানের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বুধবার (০৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মর্মান্তিক ওই সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের পাঁচজনসহ ছয়জন নিহত হন। দিবাগত রাতে কাভার্ডভ্যানটির চালক ও সহকারীর বিরুদ্ধে উজিরপুর থানায় মামলাটি করেন ওই দুর্ঘটনায় নিহত দুই ভাই আরিফ ও তারেকের ফুফাতো ভাই রাশেদুল হাসান সুমন।
নিহত ছয়জনের মধ্যে ছিলেন ঝালকাঠি সদর উপজেলার বাউকাঠি গ্রামের একই পরিবারের পাঁচজন। দুই ভাই সিরাজুল ইসলামের ছেলে আরিফ হোসেন (৩৫) ও তারেক হোসেন কাউয়ুম (২৭) ছাড়া অন্য তিনজন হচ্ছেন তাদের মা কোহিনুর বেগম (৬৫), বোন ঢাকা সিএমএইচএসে কর্মরত আর্মড ফোর্সেস নার্সেস সার্ভিসের মেজর সুরাইয়া আক্তার শিউলী (৩০) ও আরিফের শ্যালক নজরুল ইসলাম (২৮)। নিহত আরিফের তিনদিনের চার দিন বয়সী নবজাতক কন্যা তামান্নার মরদেহ দাফন করতে ঢাকা থেকে ওই পাঁচজন অ্যাম্বুলেন্সে রওনা হয়েছিলেন বাউকাঠির গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে। পথিমধ্যে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের আটিপাড়ায় ঘটা দুর্ঘটনায় তাদের সঙ্গে নিহত হন অ্যাম্বুলেন্সচালক কুমিল্লার মো. আলমগীর হোসেনও (৪৫)।
বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মুঠোফােনে বরিশালের পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ছয়জন নিহতের ঘটনায় সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুসারে কাভার্ডভ্যানের চালক ও সহকারীর বিরুদ্ধে উজিরপুর থানায় মামলা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর থেকে পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
নিহতদের মধ্যে আর্মড ফোর্সেস নার্সেস সার্ভিসের মেজর সুরাইয়া আক্তার শিউলীর মরদেহের ময়নাতদন্ত বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে সম্পন্ন হয়েছে। পরে পরিবারের কাছে তার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। গার্ড অব অনার দেওয়ার পর সন্ধ্যায় মেজর সুরাইয়া আক্তার শিউলীর মরদেহ বাউকাঠিতে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এর আগে সকাল দশটায় বাড়ির পাশের মাদ্রাসা মাঠে নিহত অন্য চারজন ও নবজাতক তামান্নাসহ পাঁচজনের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। পরে একই পারিবারিক কবরস্থানে তাদের মরদেহ দাফন করা হয়।
অ্যাম্বুলেন্সচালক আলমগীরের মরদেহও তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হলে কুমিল্লার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে তাকে দাফন করা হয়।
সান নিউজ/ এআর