নিজস্ব প্রতিবেদক: কক্সবাজারের মহেশখালীর ভাসমান টার্মিনাল থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: কনস্ট্রাকশন ওয়ার্কশপের মালামাল লুট
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টা থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয় এবং শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ১০টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে।
অপরদিকে সরবরাহ না থাকায় গতকাল সকাল থেকেই চট্টগ্রাম ও আশপাশের এলাকায় তীব্র গ্যাস সংকট শুরু হয়। শুক্রবার রাত থেকে পাইপলাইনে সরবরাহ শুরু হওয়ার পর থেকে গ্রাহকরা গ্যাস পেতে থাকেন। যদিও আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত গ্যাসের চাপ খুব কম ছিল এবং দুপুর ১২টার পর গ্যাসের চাপ বাড়তে থাকে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গ্যাস বন্ধ
চট্টগ্রামের গ্যাস বিতরণ সংস্থা কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানি জানান, চট্টগ্রামের গ্রাহকরা স্বল্প চাপে হলেও গ্যাস পেতে শুরু করেছেন। পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। টার্মিনাল থেকে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ শুরুর পর ধীরে ধীরে গ্যাসের চাপ বাড়তে থাকে। চাপ বাড়লে সরবরাহ বাড়ে। এরপর তা বিতরণ সংস্থা হয়ে গ্রাহকের কাছে যায়। একটি টার্মিনাল থেকে সর্বোচ্চ ৫০ কোটি ঘনফুট সরবরাহ করা হয়।
পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মাইনস) মো. কামরুজ্জামান খান বলেন, পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে চাপ বাড়ছে, সরবরাহও বাড়তে শুরু করেছে।রক্ষণাবেক্ষণ শেষে আনা মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির এলএনজি টার্মিনাল সময়মতো চালু করতে না পারায় গতকাল দেশের পূর্বাঞ্চলে গ্যাস সরবরাহের ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। টার্মিনালে কারিগরি ত্রুটির কারণে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জসহ ছয় জেলায় গ্যাস সরবরাহে বিপর্যয় ঘটে। বিতরণ কোম্পানির আগাম বিজ্ঞপ্তি ছাড়া হঠাৎ বিপর্যয়ে রান্না করতে না পেরে খাবারের কষ্টে পড়েন সাধারণ গ্রাহকরা। পাশাপাশি শিল্পকারখানার উৎপাদনও বিঘ্নিত হয়।
সান নিউজ/এএন