জেলা প্রতিনিধি: বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শীতজনিত রোগে গত ৬ দিনে চিকিৎসাধীন ৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে চিকিৎসা নিয়েছে ১৮৩ শিশু।
আরও পড়ুন: বিরোধের জেরে ভুট্টা ক্ষেত কেটে ফেলার অভিযোগ
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার সাহা এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মারা যাওয়া শিশুরা ঠান্ডাজনিত জ্বর ও নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন।
তিন আরও বলেন, শিশু ওয়ার্ডে গত ১২ জানুয়ারি থেকে জ্বর-সর্দি, কাশি ও নিউমোনিয়ায় শিশু বাড়ছে। এই ওয়ার্ডে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০ শিশু ভর্তি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গণপিটুনিতে যুবক নিহত
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শিশু ওয়ার্ডে ৪৫ শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি আছে ৩ গুণের বেশি। শয্যা সংকটের ফলে শিশুদের মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছে শতাধিক শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক রোগী।
শিশু ওয়ার্ডের ইনচার্জ রুনা আক্তার জানান, ১২ জানুয়ারি ৩১ শিশু ভর্তি হয়েছিল, এর মধ্যে ১ জন মারা যায়। ১৩ জানুয়ারি ভর্তি হয় ৩০ শিশু, মারা যায় ১ শিশু। ১৪ জানুয়ারি ৩১ শিশু ভর্তি হয়, মারা গেছে ১ শিশু। ১৫ জানুয়ারি ৩০ শিশু ভর্তি হয়। ১৬ জানুয়ারি ৩১ শিশু ভর্তি হয়, মারা যায় ১ শিশু। ১৭ জানুয়ারি ভর্তি হয় ৩০ শিশু, মারা যায় ১ শিশু।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, বহির্বিভাগে প্রতিদিন ৪ শতাধিক রোগীকে সেবা দিচ্ছেন ৪ শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। শিশু ওয়ার্ডে ৪৫ শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি আছে ৩ গুণের বেশি। শিশু ওয়ার্ডে শয্যা কমসহ নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সর্বোচ্চ সেবা দেওয়া হচ্ছে এ ওয়াডে।
আরও পড়ুন: বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ২
আবহাওয়া বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বরিশালে কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। গত সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বরিশালে, ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিক জীবনযাত্রা এতে করে বিপর্যন্ত হয়ে পড়ে। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষজন।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের প্রধান বশির আহমেদ জানান, বুধবার বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে মঙ্গলবার ১০.৮ ডিগ্রি, সোমবার মৌসুমের সর্বনিম্ন ৯ ডিগ্রি, রবিবার ১১.৫ ডিগ্রি, শনিবার ১০.৭ ডিগ্রি ও শুক্রবার তাপমাত্রা ছিল ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতের এ দাপট আরও কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে।
সান নিউজ/এএ