নিজস্ব প্রতিবেদক:
গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার করপাড়া গ্রামে ছেলে-মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে ফকির ও সরদার বংশের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে ওই গ্রামের ডিসলাইনের ক্যাবল কেটে দিয়েছেন প্রতিপক্ষের লোকজন। এতে ওই গ্রামের প্রায় ৬০০ গ্রাহক টেলিভিশনে সংবাদ দেখাসহ বিনোদন থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়েছেন।
গত মঙ্গলবার (০৮ সেপ্টেস্বর) দিবাগত রাতে সরদার বংশের একদল যুবক করপাড়া গ্রামের ফকির বংশের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে সরদারপাড়া, ফকিরপাড়া, বাসস্ট্যান্ড ও পূর্ব নিজড়া এলাকার ডিসলাইনের সকল ক্যাবল কেটে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ক্যাবল মালিক ইকবাল মাহামুদ ফকির অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘করপাড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের মনির মোল্লার ছেলে ও ইউসুফ সরদারের মেয়ের মধ্যে বেশ বিছুদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর জেরে মঙ্গলবার সকালে ফকির ও সরদার বংশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আমিসহ উভয় বংশের অন্তত ২০ গ্রামবাসী আহত হন। আহত ১০ জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আমি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় সরদার বংশের একদল যুবক ওইদিন রাতেই আমার ডিসলাইনের সকল ক্যাবল কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলেছেন। এতে আমার প্রায় চার লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে এবং প্রায় ৬০০ গ্রাহক টেলিভিশন দেখা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। গ্রাহকরা আমাকে ফোন দিয়ে লাইন সংযোগের কথা বলছেন। কিন্তু সংযোগ লাগাতে এখন নতুন ক্যাবলের প্রয়োজন। প্রতিপক্ষের লোকজন আমার যে বিশাল ক্ষতি করেছেন, তা আমি কিভাবে মেটাবো?’
করপাড়া গ্রামের ডিসলাইন গ্রাহক জাহাঙ্গীর মোল্লা বলেন, বুধবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ঘুম থেকে উঠে খবর দেখার জন্য টেলিভিশন খুলি। দেখি ঝির ঝির আসছে। কিছু সময় পরে জানতে পারি, ডিসলাইনের তার সরদার বংশের লোকজন রাতের আঁধারে কেটে দিয়েছেন। সেই থেকে আমরা খবর না দেখে আছি। ছেলে-মেয়েরা বিনোদন থেকেও বঞ্চিত রয়েছে।’
ওই গ্রামের পান্নু শেখ, মান্নু শেখ, মনির মোল্লাসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বুধবার সকাল থেকেই আমাদের টেলিভিশনে কোনো চ্যানেল দেখা যাচ্ছে না। পরে আমরা দেখতে পাই, আমাদের বাড়ির ডিসলাইনের তার কাটা রয়েছে। আমরাতো টাকা দিয়ে তার কিনে লাইন নিয়েছি। আমরা কেন দুই বংশের মারামারির জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হবো? এই ঘটনা যারা ঘটিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি।’
গোপালগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক ( তদন্ত) মো. হযরত আলী জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে। এরপর সরদার বংশের লোকজন ফকির বংশের ডিসলাইন ব্যবসায়ী ইকবাল মাহামুদের ডিস লাইনের ক্যাবল কেটে দিয়েছে বলেন অভিযোগ আসে। সেই বিষয়টিও মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’
সান নিউজ/ এআর