মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার আধারায় পূর্ব শত্রুতার জের ও নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে বাড়িঘর ভাঙচুর ও দোকানপাট লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: ভারত সব সময় পাশে ছিল
রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে আধারার বকুলতলা ও শোলারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন ২ নারীসহ ৩ জন। ঘটনার পরপরই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শোলারচর ও বকুলতলা এলাকার পরাজিত নৌকা ও বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলছিল।
স্থানীয় আলী হোসেন ও আহাদুল ইসলামের মধ্যকার দীর্ঘ দিনের বিরোধের সূত্র ধরে নির্বাচনে পক্ষ-বিপক্ষকে সামনে রেখে এমন ঘটনা ঘটে বলে দাবি স্থানীয়দের।
আরও পড়ুন: বৃষ্টির পর তাপমাত্রা বাড়ার আভাস
আলি হোসেন নৌকা প্রতীকের পরাজিত প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাসের হয়ে এলাকায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। আহাদুল জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী ফয়সাল বিপ্লবের সর্মথক। এদিকে আহাদুল রয়েছেন প্রবাসে। বিরোধের জেরে স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা ও গরু-ছাগল লুটে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
তাদের অভিযোগ, সদ্য জাতীয় নির্বাচনে তারা স্থানীয় আলী হোসেনের পক্ষে নৌকা প্রতীকের সমর্থন করায় এ হামলার স্বীকার হন তারা। এ ঘটনায় আহত স্থানীয় রেনু বেগম (৫০), মাহফুজ (৫০) ও শাহানাজ (৫০) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত মাহাবুব ভূইয়ার স্ত্রী জাকিয়া বেগম জানান, তার বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে ৫টি গরু, ৮টি ছাগল ও ১০ ভরি স্বর্ণ লুট করে নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: টাকা না পেয়ে মাকে কুপিয়ে হত্যা
তাদের বাড়িতে সিসিক্যামেরা থাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এ হামলা চালানো হয়। এছাড়া ২টি সিসিক্যামেরা নিয়ে যায় হামলাকারীরা। পরে অতিরিক্ত পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বকুলতলা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত আমিন উদ্দিন সরকারের মেয়ে পান্না বেগম বলেন, ভোরে কাঁচি সর্মথক আহাদুলের নেতৃত্বে আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে নগদ ৫ লাখ টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ণ লুটে নিয়েছে। এ সময় তারা আমাদের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি পাবনা যাচ্ছেন আজ
এ বিষয়ে আলি হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি। অপরদিকে আহাদুল সৌদি আরবে থাকায় তার সাথেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, একজন লোকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে এবং তার নেতৃত্বে হামলা হয়েছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থান্দার খাইরুল হাসান জানান, পূর্ব থেকে দুটি গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছিল। সকালে সহিংসতার খবর পেয়ে সাথে সাথে ফোর্স নিয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই।
আমরা ৭টি ঘর ভাংচুরের চিত্র দেখেছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য সেখানে ৫টি টিম মোতায়েন করা হয়েছে।
সান নিউজ/এনজে