জেলা প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে বোমা ফাটিয়ে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করা মাদরাসাছাত্র সাইফুল ইসলামকে (১৭) উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় চন্দ্রগঞ্জ থানায় ছাত্রের মা রোজিনা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন। এতে জড়িত অভিযোগে শাহাদাত হোসেন ও মো. সাগরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৪ জনের মৃত্যু
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে অপহরণের মামলায় আটক ২ জনসহ অজ্ঞাত আরও ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অপহরণের শিকার সাইফুল সদর উপজেলার রমারখিল দাখিল মাদরাসার ৯ম শ্রেণির ছাত্র। তিনি বশিকপুর ইউনিয়নের বালাইশপুর গ্রামের ওমান প্রবাসী জালাল উদ্দিনের ছেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক বেলায়েত হোসেন জানান, গ্রেফতারদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত তাদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সারোয়ারের গণসংযোগ
গ্রেফতার শাহাদাত সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পূর্ব বশিকপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে ও সাগর একই উপজেলার মিরিকপুর এলাকার মো. লিটনের ছেলে।
স্থানীয়রা বলেন, সাইফুলরা নানার বাড়ি দত্তপাড়া ইউনিয়নের কড়ইতলা গ্রামে বাস করেন। ঘটনার সময় সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল যোগে ১৮ থেকে ২০ জন ওই বাড়িতে আসে। সবাই মুখোশ পরা ছিল। তাদের মধ্যে একজনের হাতে বন্দুক ছিল। কিছু বুঝে উঠার আগেই অন্যরা বোমা ফাটিয়ে সাইফুলদের টিনসেট ঘর ভাঙচুর ও তাকে মারধর করে। বাঁচাতে এলে তার মা রোজিনা ও বোন ফারজানা আক্তারকেও মারধর করা হয়। একপর্যায়ে বন্দুক ঠেকিয়ে সাইফুলকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আলামত জব্দ করে।
আরও পড়ুন: জনসভায় দুগ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত ১
সাইফুলের মা রোজিনা বেগম জানান, আমার স্বামী জালাল বালাইশপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে শ্রমিক ভিসায় ওমান নিয়েছিল। ওই লোক ৫ মাসের মাথায় ওমান থেকে চলে আসে। এরপর তিনি ওই টাকা ফেরত চায়। তিনি কিছুদিন পরপর টাকার জন্য বিভিন্ন কথা শুনাতো। ওই ব্যক্তিই পরিকল্পিতভাবে হামলা ও অপহরণের ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দত্তপাড়া ইউনিয়নের করইতলা গ্রামের বাড়ি থেকে সাইফুলকে তুলে নেওয়া হয়। পরে অভিযান চালিয়ে রাত ১২টার দিকে পাশ্ববর্তী বশিকপুর থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে।
সান নিউজ/এসকে