জেলা প্রতিনিধি: টয়লেটের তীব্র দুর্গন্ধে নাক-মুখে হাত চেপে থাকতে হচ্ছে হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডের রোগীদের। গন্ধ এত বেশি যে, বমি চলে আসার মতো অবস্থা। যেখানে সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়ার উপক্রম সেখানেই চিকিৎসা চলছে রোগীদের। এমনি চিত্র জামালপুরের মেলান্দহ ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের।
আরও পড়ুন: দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরি চলাচল শুরু
রোগী ও তাদের স্বজনের অভিযোগ, হাসপাতালের ওয়ার্ডের টয়লেটের অবস্থা খুবই খারাপ। নোংরা ও অপরিষ্কার থাকায় রোগী এবং তাদের স্বজনদের পড়তে হচ্ছে বিপাকে।
সরেজমিন দেখা যাচ্ছে , হাসপাতালের ২ তলায় পুরুষ ও মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডের টয়লেট থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। রোগী ও রোগীর স্বজনেরা নাক চেপে বাধ্য হয়ে থাকছেন এবং রোগীদের থাকার বিছানার বেশিরভাগ ফোম নষ্ট হয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। সব মিলিয়ে এক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলছে রোগীদের চিকিৎসা সেবা।
আরও পড়ুন: বিচ্ছেদের পরে দুধ দিয়ে গোসল
রাবেয়া খানম নামের এক রোগীর স্বজন জানান, টয়লেটের অবস্থা খুবই খারাপ। গতকাল এসেছি টয়লেট থেকে দুর্গন্ধ আসতাছে, নাক চেপে থাকতে হইতাছে। টয়লেটে গেলে বমি আসে। রোগী সুস্থ হওয়ার থেকে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। শুধু পানি দিয়ে পরিষ্কার করে দুর্গন্ধ যাচ্ছে না।
সাঈদ আলী নামে আরও এক রোগী বলেন, ৫ দিন ধরে ভর্তি হয়েছি। নোংরা টয়লেটের দুর্গন্ধের কারণে যেতে হয় নাক চেপে এবং টয়লেটের সবখানে মলমূত্র। রোগী তো দূরে থাক, সুস্থ লোকও এসব টয়লেটে গেলে অসুস্থ হয়ে যাবে। বিছনার ফোমও নষ্ট হয়ে পচে গেছে।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সাব্বির আহমেদ বলেন, টয়লেট পরিষ্কার করা হয়। রোগীরা টয়লেটের ভেতরে প্যাড ও পচা কাপড় ফেলে এর জন্য টয়লেটের লাইন কিছু দিন পর পর ব্লক হয়ে যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা গাজী মো. রফিকুল হক জানান, হাসপাতালের রোগীরাই টয়লেটের ভেতরে পলিথিনসহ পচা কাপড় ফেলে নষ্ট করে রাখে। কয়েকবার সুইপার দিয়ে পরিস্কার করানো হয়েছে। এ বিষয়ে এলজিইডিকে জানানো হয়েছে। সংস্কার করার পর এই সমস্যা আর থাকবে না।
সান নিউজ/এএন/এএ