নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
পদ্মার তীব্র স্রোত ও নাব্যতা সংকটের কারণে সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) পঞ্চম দিনের মতো শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ফেরি কর্তৃপক্ষ বলছে, ফেরি চালানোর জন্য এখনো নৌপথ উপযোগী হয়ে ওঠেনি। ১০-১২ দিন ধরে পারের অপেক্ষায় আছে প্রায় চার শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক ও পিকআপ ভ্যান। কবে নাগাদ ফেরি চালু হবে সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেনি ঘাট কর্তৃপক্ষ।
সময়মতো পার হতে না পেরে দীর্ঘ হচ্ছে যানবাহনের সারি। এ কারণে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন এই নৌ-পথে আসা যাত্রী ও পরিবহনশ্রমিকেরা। তীব্র গরমে যাত্রীদের বিরক্তি চরমে উঠতে দেখা যায়। সেই সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে রোদে অপেক্ষা করায় নষ্ট হচ্ছে অনেক পচনশীল দ্রব্যাদি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মোহাম্মদ ফয়সাল গণমাধ্যমকে জানান, কর্মকর্তারা নৌপথ পরিদর্শন করেছেন। ফেরি চালু হবে কিনা সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে কয়েকটি ছোট ফেরি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার কথা রয়েছে। চ্যানেল এখনো বুঝিয়ে না দেওয়ায় চালুর ব্যাপারে কিছু বলা যাচ্ছে না।
এদিকে, দুর্ভোগ এড়াতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-পথ ব্যবহার করার অনুরোধ জানিয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। তারা জানান, ফেরির চ্যানেলে পলি আসা বন্ধ করা যাবে না। তবে সার্বক্ষণিক ড্রেজিং করে চ্যানেল সচল রাখার কাজ চলছে।’
ঘাট কর্তৃপক্ষ আরও জানায় লৌহজং টার্নিং, চাইনিজ চ্যানেলসহ মোট তিন চ্যানেলের একটি পলি পড়ে বন্ধ হলেও অপরটি ড্রেজিং করে ফেরি চলছে। এক চ্যানেল থেকে অন্য চ্যানেলে ড্রেজার স্থানান্তর করা সহজ নয়। আপাতত কিছুদিন এভাবে চললে আগামী কিছুদিনের মধ্যে সুন্দর ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
এর আগে নাব্যতা সঙ্কট ও পদ্মার পানি কমে যাওয়ায় চ্যানেল সরু হওয়ায় গত শনিবার (২৯ আগস্ট) থেকে রাতের বেলায় শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌ-পথে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। একই কারণে দিনের বেলায়ও ব্যাহত হচ্ছে ফেরি চলাচল। এতে প্রতিদিনই ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রীরা।