ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে দীর্ঘ ৩ মাস ধরে হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে নুসরাত। ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে বারবার রেফার্ড করেছেন রংপুরে।
আরও পড়ুন: তুচ্ছ কারণে নারীকে পিটিয়ে হত্যা
কিন্তু টাকার অভাবে তার উন্নত চিকিৎসার করাতে পারছেন না তার দরিদ্র মা। অর্থাভাবে বন্ধ আছে নুসরাতের চিকিৎসা।
পত্রিকায় নুসরাতকে নিয়ে প্রকাশিত সংবাদ দেখে মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বিকেল ৪ টায় পুলিশ সুপার ছুটে যান ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন নুসরাতের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন তিনি।
নুসরাতের মায়ের কাছে তার বিষয়ে খোঁজখবর নেন এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। তিনি নুসরাতের চিকিৎসা করাতে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: লঘুচাপ আরও শক্তিশালী হতে পারে
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক বলেন, পুলিশ আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা ঠাকুরগাঁও জেলায় বিভিন্ন ধরনের মানবিক কাজ করে আসছি।
একটি মেয়ে কুকুড়ের কামড়ে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে জানতে পেরে আমি হাসপাতালে ছুটে আসি। তার পরিবার দরিদ্র। এ কারণে তার চিকিৎসার সব ধরনের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়েছি।
নুসরাতের মা লাইলী বেগম বলেন, আমার মেয়েটা কুকুরের কামুড়ে দীর্ঘ ৩ মাস ধরে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে রয়েছে। আমি তাকে রংপুর নিয়ে গেছিলাম। কিন্তু টাকার অভাবে সেখানে চিকিৎসা করাতে পারিনি। ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার আমার মেয়ের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির অষ্টম দফার অবরোধ চলছে
তিনি আমার যে উপকার করেছেন, এটা আমি সারা জীবনেও ভুলতে পারবো না। আল্লাহ আমাদের পুলিশ সুপারের মঙ্গল করুক।
ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, নুসরাত নামের বাচ্চাটি আমাদের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। বাচ্চাটি গত ২ সেপ্টেম্বর কুকুরের কামড়ে আহত হওয়ার পর ভ্যাকসিন নিয়েছে। এক মাস পরে তার কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।
আরও পড়ুন: আদালত চত্বরে ককটেল বিস্ফোরণ
কামড়ানো জায়গাটিতে ব্যথা। এক মাসের বেশি সময় এখানে ভর্তি রয়েছে। এছাড়া রংপুরেও চিকিৎসা করিয়েছে। ব্যথা যেহেতু যাচ্ছে না, সেজন্য আমরা এখানে তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছি। ৯০ দিন না গেলে আমরা এ মুহূর্তে তেমন কিছু বলতে পারছি না।
তবে আমাদের কাছে মনে হচ্ছে, যেহেতু এ পর্যন্ত তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না, তাই বাচ্চাটির মানসিক সমস্যা হতে পারে। পুলিশ সুপার বাচ্চাটির চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজখবর নিতে হাসপাতালে আসেন এবং আমােদের সঙ্গে কথা বলেন।
নুসরাত ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মিলন নগর এলাকার মো. হারুনের মেয়ে। বর্তমানে সে ঠাকুরগাঁও আরকে স্টেট উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে।
সান নিউজ/এনজে