মেহেদী হাসান:
ক্রমশই লাশের সংখ্যা বাড়ছে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লায় মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দগ্ধদের মধ্যে মুয়াজ্জিনসহ ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের মধ্যে ২৩ জনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালে আহত ও নিহত মুসল্লিদের সব রকমের সহযোগিতায় পুলিশের পক্ষ থেকে হেল্প ডেস্ক খোলা হয়েছে। এসময় একের পর এক মৃত্যু সংবাদে স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠে হাসপাতালের পরিবেশ।
এদিকে, বেলা ১২টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে হতাহতদের দেখতে যান নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলম।
পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'ঘটনাটি অনেক হৃদয় বিদারক। পুলিশের পক্ষ থেকে মরদেহ নিহতদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ মিলে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার যেভাবে চাইবে আমরা সেভাবেই মরদেহ হস্তান্তর করবো। পরিবার যদি বলে তাহলে কোন লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে না।' মরদেহ শাহবাগ থানা পুলিশের মাধ্যমে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।
এসপি বলেন, ‘ঘটনাস্থল (মসজিদ) আমরা পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিকভাবে পরিলক্ষিত হয় সেখানে এসি বিস্ফোরণে এই ঘটনাটি ঘটেছে। মসজিদের মোট ৬টি এসি ছিল। সবগুলো বিস্ফোরণ হয়েছে। এতে মসজিদের সবগুলো জানালার কাঁচ ভেঙে যায়। আগুনে মসজিদের সিলিং ফ্যানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, 'বিস্ফোরণের ঘটনায় শনিবার সকালে জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিনের নির্দেশে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খাদিজা তাহেরা ববিকে প্রধান এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) এটিএম মোশাররফ ও ফায়ার সার্ভিস, তিতাস ও বিদ্যুতের ডিডিকে সদস্য করা হয়েছে।'
এই ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে ৩০৪ ধারায় অপঘাতে মৃত্যুর মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও তিনি জানান।