জেলা প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণ মামলার বাদী কলেজছাত্রী এশা মির্জার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত সৌরভ পাল টাঙ্গাইল পৌরসভার থানাপাড়া এলাকার শ্যামল পালের ছেলে। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
রোববার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস ছালাম মিয়া এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে নিহত কলেজছাত্রী এশা মির্জার বড় বোন লুনা মির্জা বাদী হয়ে সৌরভকে প্রধান ও তার আপন ভাই জনি মির্জার নামে আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা দায়ের করেছেন। সৌরভের সঙ্গে নিহত বাদী এশার বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল বলে জানা যায়।
টাঙ্গাইল সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম মিয়া জানান, শনিবার রাতে আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগ এনে এশার বোন লুনাকে আপন ভাই জনি মির্জা ও সৌরভ নামের একজনকে আসামি করেন। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে মরদেহ প্রেরণ করা হয়েছে। আজ রোববার ময়নাতদন্ত করা হবে। ময়নাতদন্ত শেষে হলে বিস্তারিত জানা যাবে। গ্রেফতার সৌরভ পালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানায় ওসি।
আরও পড়ুন: নাটোরে বাসে আগুন
চলতি বছরের ৫ এপ্রিল রাতে টাঙ্গাইল সদর থানায় এশা বাদী হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছিল। মামলায় এশা ধর্ষণের কারণে অন্তঃসত্তা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন। পরে ৬ এপ্রিল দুপুরে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেয় ঐ কিশোরী।
গত ৩০ জুন টাঙ্গাইল শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে এশা পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। পরে আদালতের নির্দেশে এশার গর্ভে জন্ম নেওয়া শিশুর ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার প্রতিবেদনে জন্ম নেওয়া শিশুটির বাবা গোলাম কিবরিয়া নন বলে জানা গেছে। আদালত গোলাম কিবরিয়াকে ১১ জুলাই উচ্চ আদালতের দেওয়া জামিন বহাল রাখে। তিনি পরে কারামুক্তি লাভ করেন। ধর্ষণের এ মামলাটি টাঙ্গাইলের পুলিশ ব্যুারো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করছে।
সান নিউজ/এএ