নিজস্ব প্রতিবেদক:
দিনাজপুর: ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনায় প্রধান আসামি আসাদুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫টার দিকে হাকিমপুর থানার হিলির কালিগঞ্জ এলাকায় তার বোনের বাড়ি থেকে আসাদুলকে যৌথ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে র্যাব ও পুলিশ। তিনি ঘোড়াঘাট উপজেলার ওসমানপুরের আমজাদ হোসেনের ছেলে। আসাদুলই ইউএনওর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। অন্য এক অভিযানে জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করেন র্যাব সদস্যরা। পরে তাদের র্যাব-১৩ এর সদর দপ্তর রংপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ওয়াহিদা খানমের ভাই ঘোড়াঘাট থানায় হামলার বিষয়ে মামলা করেন।
ইউএনও ওয়াহিদা খানমের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে চিকিৎসাধীন ওয়াহিদা খানমকে দেখতে আসেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইউএনওদের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার বিষয়ে ডিসি সম্মেলনে একটা দাবি ছিল। সেটি প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনেও আছে। ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব ও জননিরাপত্তা সচিব এবং অর্থ সচিবের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে ইউএনওদের বাড়িতে পাহারা দিতে আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য নিয়োগ দেওয়া হবে।
ইউএনও ওয়াহিদা খানম নিজের সরকারি বাসভবনে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয়েছেন। বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে দুর্বৃত্তরা তার বাসায় ঢুকে ধারালো অস্ত্র ও হাতুড়ি দিয়ে ইউএনও এবং তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলীর ওপর হামলা চালায়। ইউএনওর মাথায় গুরুতর আঘাত এবং তার বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
গুরুতর অবস্থায় ইউএনওকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়।