ঝালকাঠি প্রতিনিধি: গাজীপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত পোশাক শ্রমিক রাসেলকে তার গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠিতে দাফন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাভারে রিমি পরিবহনের বাসে আগুন
সোমবার (৩০ অক্টোবর) কারখানার শ্রমিকদের আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে রাসেল নামের ২৬ বছর বয়সী এই শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
নিহত রাসেল হাওলাদার ঝালকাঠি সদর উপজেলার বিনয়কাঠি গ্রামের আব্দুল হান্নান হাওলাদারের ছেলে। গাজীপুরে "ডিজাইন এক্সপ্রেস লিমিটেড" নামের একটি কারখানায় কাজ করতেন তিনি। রাসেল ঐ কারখানাটির ইলেকট্রিশিয়ান পদে কর্মরত ছিলেন।
গাজীপুরে গাছা থানাধীন মালেকের বাড়ি এলাকায় একটি মেসে ভাড়া থাকতেন তিনি। এ তথ্য জানিয়েছেন নিহতের সহকর্মী মো. আবু সুফিয়ান।
আরও পড়ুন: অটোরিকশার ধাক্কায় পথচারীর মৃত্যু
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার আগে রাসেলের মরদেহ আনা হয় ঝালকাঠি সদর উপজেলার বাউকাঠি গ্রামে। সেখানে মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসা ময়দানে জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করা হয় রাসেলকে।
নিহত রাসেলের বাবা আব্দুল হান্নান হাওলাদার জানান, ৪ বছর আগে জীবিকার তাদিগে গাজীপুরে চাকুরি করতে যায় রাসেল।
উল্লেখ্য, মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে গাজীপুরে ৭ দিন ধরে বিক্ষোভ করছিল বিভিন্ন কল-কারখানার শ্রমিকরা। সোমবার বিক্ষোভ এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা একটি পিকআপ ভ্যান, পুলিশ বক্স ও দুটি পোশাক কারখানায় আগুন দিয়েছে। আগুন নেভাতে গেলে ভাঙচুর করা হয় ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়িও।
আরও পড়ুন: নভেম্বরের মধ্যে নতুন বেতন ঘোষণা
এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে তখন কারখানার সামনেই পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। এতে রাসেল বুকের ডান পাশে এবং ডান হাতে গুলিবিদ্ধ হন।
তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে প্রথমে তায়রুন্নেছা মেমোরিয়াল মেডিক্যাল কলেজে এবং পরে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে পুলিশের দাবী রাসেল হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে। সোমবার বিকেলে এক ব্রিফিংয়ে গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার ইব্রাহিম খান বলেন, তায়রুন্নেছা মেডিক্যালের চিকিৎসকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রাসেলের কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে। পরে ঢাকা মেডিক্যালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
সান নিউজ/এনজে