নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজীপুরে বেতন বাড়ানোর দাবিতে কারখানার শ্রমিকরা আজও মহাসড়কে রয়েছেন। টানা সপ্তম দিনের মতো বিক্ষোভ করছেন তারা। শ্রমিকদের অবরোধ ও বিক্ষোভের কারণে জেলার অধিকাংশ কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুলিয়ারচরে মিছিলে গুলি, নিহত ২
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল থেকেই গাজীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।
ফলে এ দুই মহাসড়কে আজ দূরপাল্লার কোনো গাড়ি চলছে না। এছাড়া আঞ্চলিক পরিবহনের সংখ্যাও খুবই কম। শ্রমিকরা মহানগর নলজানী, চান্দ্রনা চৌরাস্তা, ভোগরা, বাসন সড়ক এলাকায় অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছেন।
আরও পড়ুন: ৩ পুলিশকে কুপিয়ে জখম
পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের পাশাপাশি র্যাব ও বিজিবির টহল চলছে।
এর আগে পুলিশের গুলিতে শ্রমিক নিহতের ঘটনায় বিক্ষোভকারীরা পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছে এবং হাসপাতাল ও দোকানে ভাঙচুর চালিয়েছে।
তারা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মৌচাক ও সফিপুর এলাকায় মহাসড়ক বিক্ষোভ করে ভাঙচুর চালিয়েছে এবং সফিপুর তানহা হাসপাতাল ভাঙচুর করে। এছাড়া আগুন দিয়েছে সফিপুর পুলিশ বক্সে ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেছে মৌচাক পুলিশ ফাঁড়িতে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ সারাদেশে বিজিবি মোতায়েন
জানা গেছে, মহানগরীর রিপন নিটওয়্যার লিমিটেড, ডিবিএল গ্রুপের জিন্নাত কমপ্লেক্স, তুসুকা গ্রুপের ৫/৭ টি কারখানা, মিতালি ফ্যাশন, মাল্টি ফ্যাবস লিমিটেড, আলিম নিড টেক্স, এমএম নিড ওয়্যার, জিএমএস কমপোজিট নিট, পি.এন কম্পোজিট, মুকুল কম্পোজিটসহ অধিকাংশ কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এসব কারখানায় ১ দিন বা ২-৩ দিন ছুটি দেওয়া হয়েছে।
তুসুকা কারখানার শ্রমিক আবিত হোসেন জানান, আমাদের কারখানা ২ দিন ছুটি দিয়েছে। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আমাদের একজন শ্রমিককে হত্যা করা হয়েছে। এর বিচার করতে হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বাস ভাঙচুর
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান জানান, শ্রমিকরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে। তারা পুলিশ ফাঁড়ি ভাঙচুর করেছে এবং মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়েছে।
সেই সাথে দোকানপাট ও একটি হাসপাতাল ভাঙচুর করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, র্যাব ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ অক্টোবর থেকে গাজীপুরে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা।
তারা জানান, বর্তমান বাজারে সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়েছে। তাদের যারা ৮০০০ টাকা বেতন পান, এ বেতন বাড়িয়ে ২৩ হাজার টাকা করার দাবি জানানো হয়েছে।
সান নিউজ/এনজে