নিজস্ব প্রতিনিধি:
বগুড়ায় এক কলেজছাত্রীকে (১৭) হোটেলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে আনন্দ টিভির স্পেশাল রিপোর্টার আহসান হাবিব আতিককে (৪০) গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনা ঘটে যাওয়ার ৮ মাস পরে মামলাটি দায়ের করা হলেও পুলিশের তাৎক্ষণিক তৎপরতায় আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সদর থানা পুলিশ সোমবার (৩১ আগস্ট) রাতে আতিককে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। ঐদিন বিকালে ওই ছাত্রী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুপ্রিয়া রহমানের আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপশহর ফাঁড়ির এসআই রহিম উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, আতিক আনন্দ টিভির স্পেশাল রিপোর্টার এবং স্থানীয় ‘দৈনিক মহাস্থান’ এর স্টাফ রিপোর্টার ও কাহালু প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক। ভিকটিমের বাড়ি শহরের খান্দার এলাকায়। মেয়েটি এবার উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছেন। সঙ্গত কারণেই তিনি মেয়েটির নাম প্রকাশ করেননি।
মামলার এজহারে বলা হয়েছে ফোনালাপ থেকেই দুজনের প্রেমের সম্পর্ক হয়। সাংবাদিক আতিক তাকে প্রায়ই প্রলোভন দেখিয়ে প্রাইভেট কারে করে বিভিন্ন স্থানে বেড়ানোর প্রস্তাব দিত। গত ৫ জানুয়ারি সকালে শহরের জ্বলেশ্বরীতলা এলাকায় রেটিনা কোচিং সেন্টারের গেটে যায় মেয়েটি। তখন আতিক কৌশলে মেয়েটিকে প্রাইভেট কারে তুলে শহরতলির চারমাথায় সেঞ্চুরি মোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।
মেয়েটি বাড়ি ফিরে ঘটনা জানালেও সম্মানহানির ভয়ে তার পরিবার কোন ব্যবস্থা নেয়নি। কিন্তু আতিক এতেই ক্ষান্ত হয়নি। মেয়েটিকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়াসহ ভয় দেখিয়ে নানান কুপ্রস্তাব দেয় সে। মেয়েটির পরিবার রাজি না হলে সামাজিকভাবে হেয় এবং অন্যত্র বিয়েতে বাধা দেওয়ার কথা বলে। আর বিয়ে দিলেও সংসার করতে দেবে না বলে হুমকি দেয়।
ঘটনার আট মাস পর মামলা প্রসঙ্গে ছাত্রীর মা বলেছেন, আতিকের কাছে ছাত্রীর কিছু ছবি ও ভিডিও ছিল। এসব ফাঁস হওয়ার ভয়ে তারা এতদিন আইনের আশ্রয় নেননি।
এসআই রহিম উদ্দিন জানান, সোমবার রাতে ছাত্রীর মা মামলা দিলে একমাত্র আসামি আতিককে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। একই দিন বিকালে মেয়েটি আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। ইতিমধ্যে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।