নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনা: পিএফ, গ্রাচ্যুইটিসহ চূড়ান্ত পাওনা পরিশোধের দাবিতে খুলনার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিরোমণি শিল্পাঞ্চলের ব্যক্তি মালিকানাধীন মহসেন জুটমিলের শ্রমিক-কর্মচারীরা।
শ্রমিক-কর্মচারীরা জানান, গত ২৬ জুলাই জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুসারে গত ২৬ আগস্ট চূড়ান্ত পাওনা মিল মালিকের পরিশোধের কথা থাকলেও টাকা পাননি তারা।
সোমবার (৩১ আগস্ট) বেলা ১১টায় অবস্থান কর্মসূচিতে শ্রমিক নেতারা বলেন, ‘মালিকপক্ষ শ্রমিকদের দীর্ঘ সাত বছরের পাওনা পরিশোধ না করে সিবিএ নেতাদের সহযোগিতায় মিলটি বেআইনিভাবে বন্ধ করে দেন। মালিকপক্ষ এখন পাওনা পরিশোধ না করে টালবাহানা করছেন।’
‘গত ২৬ জুলাই জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে মালিক নতুন করে আরো একমাসের সময় নিলেও সে সিদ্ধান্ত কার্যকর করেননি। শ্রমিকদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। টাকা আদায়ের ক্ষেত্রে শ্রমিকের এখন আর আন্দোলনের বিকল্প কোনো পথ খোলা নেই।’
অনতিবিলম্বে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত কার্যকরসহ নির্ধারিত সময়ে শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ না করায় ক্ষতিপূরণ দাবি করেন তারা।
আগামী বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে শ্রমিকরা অনশন করবেন। এর মধ্যে পাওনা পরিশোধ না হলে ওই কর্মসূচি থেকে রাজপথ, রেলপথ অবরোধসহ কঠিন আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও জানান আন্দোলনরত শ্রমিক নেতারা।
অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে শ্রমিক নেতাদের একটি প্রতিনিধিদল জেলা প্রশাসক মো. হেলাল হোসেনের কাছে স্মারকলিপি দেন।
মিলের প্রবীণ শ্রমিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাতাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে শ্রমিক-কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন আটরা গিলাতলা ইউপি চেয়ারম্যান ও খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শেখ মনিরুল ইসলাম, মিলের শ্রমিক বীর মুক্তিযোদ্ধা কাগজি ইব্রাহিম, ইঞ্জিল কাজী, মহসেন জুট মিলের সিবিএ’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক খান গোলাম রসুল , শ্রমিক ফেডারেশন নেতা অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, আজিজুল ইসলাম, আমির মুন্সি, সাংবাদিক মিহির রঞ্জন বিশ্বাস, আবু জাফর, মঙ্গল শেখ, সোহরাব শেখ, সালাম খান, ইলিয়াস হোসেন, আইনউদ্দিন, শহিদুল্লাহ সরদার, গফফার, মোড়ল আ. সত্তার, গফুর, আ. সত্তার, ইলিয়াস, আশরাফ ফকির, ফুল মিয়া, প্রদীপ বিশ্বাস প্রমুখ।
সান নিউজ/ এআর