এস. এম সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট: টানা বৃষ্টিতে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতায় তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ী। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন দিনমজুর ও শ্রমিক-কর্মচারীরা। রাস্তা ও ঘরে পানি উঠায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিতে মোংলাবন্দর ও পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছেন। এছাড়া বুধবার (৪ অক্টোবর) ভোর থেকে থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারী বৃষ্টি হচ্ছে মোংলার উপকূলজুড়ে।
টানা বৃষ্টিপাতে সেখানকার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছে দিনমজুর ও শ্রমিক-কর্মচারীরা। এতে পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: অজ্ঞাতরোগে ঘেরের মাছ মরে ব্যাপক ক্ষতি
এছাড়া পানিতে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ী ও রান্নাঘর। বন্ধ হয়ে গেছে অনেক পরিবারের রান্নাবান্না। রাস্তা ও ঘরে পানি উঠায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ওয়ার্কশপ মালিক মো. হানজালা হাওলাদার বলেন, বৃষ্টিতে কোনো কাজ কর্ম নেই। তাই অলস বসে থাকতে হচ্ছে। কাজ না থাকলে আয় হবে কিভাবে, আর সংসারও চালাবো কেমন করে।
আরও পড়ুন: মাটিরাঙ্গায় অভিযান, ভারতীয় সিগারেট জব্দ
দুধ ব্যবসায়ী সুলতান ফকির বলেন, পাশের উপজেলা রামপালের ফয়লা থেকে দুধ এনে মোংলার বিভিন্ন হাটে-বাজারে বিক্রি করে থাকি। কিন্তু বৃষ্টিতে স্বাভাবিক কাজ কর্ম করতে কষ্ট হচ্ছে।
সামছুর রহমান রোডে বাসিন্দা সালমা বেগম বলেন, বৃষ্টিতে রাস্তায় ও বাড়িতে পানি ওঠেছে। রান্না ঘরে পানি ওঠায় ৫ দিন ধরে অন্যের বাড়ি থেকে রান্না করে আনতে হচ্ছে। একই এলাকার নুর নাহার বেগম বলেন, বৃষ্টিতে ঘরে পানি ওঠায় ছেলে-মেয়ে নিয়ে থাকতে খুব কষ্ট হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শ্রেণিকক্ষে হাঁটুপানি, ব্যাহত পাঠদান
মো. সাইফুল ও ফরহাদ হোসেন বলেন, রাস্তার হাঁটুপানি ভেঙ্গে আমাদের চলাফেরা করতে হচ্ছে। অফিসে যেতে কাপড়-চোপড় নষ্ট হয়ে যায়। দীর্ঘ ৮ বছর ধরেই সামান্য বৃষ্টিতে আমরা জলাবদ্ধতার শিকার হয়ে আসছি। রাস্তা ও ড্রেন কিছুই নেই। রাস্তা দেখলে মনে হয় যেন খাল।
এদিকে বৃষ্টিপাতের কারণে সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে বন্দরে অবস্থানরত ৩ টি সারবাহী বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের সার ওঠা-নামা ও পরিবহনের কাজ। বাকি ৬ টি বিদেশি জাহাজের কার্যক্রমও বিঘ্নিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা।
সান নিউজ/এনজে