এস. এম সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে একটি মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দৈন্যদশা। পূর্ণিমার অতিরিক্ত জোয়ারের পানি বৃদ্ধি ও সামান্য বৃষ্টি হলেই শ্রেণিকক্ষে হাঁটুপানি জমে যায়। এতে পাঠদান বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কোনো নজরদারি নেই। শিক্ষার্থী অভিভাবকদের দাবি- একটি নতুন ভবনের। সরেজমিনে উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ১২৩ নং মোরেলগঞ্জে মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৭২ সালে পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্রে স্থাপিত হলেও বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়নি।
এ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ৪৩৫ জন। শিক্ষকমন্ডলীর ১৭ টি পদ থাকলেও কর্মরত রয়েছে ১৫ জন। ২০১৮ সাল থেকে প্রধান শিক্ষকের পদটি শূন্য ও ১ জন সহকারী শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ ১১ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন শিরিন আক্তার। কর্মরত ১৫ জন শিক্ষকের মধ্যে ১ জন মাত্র পুরুষ শিক্ষক। বিদ্যালয়ে ১ টি মাত্র সাইক্লোন শেল্টার ভবন রয়েছে, সেখানে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়।
এর পাশেই ১৯৯১-৯২ ও ২০০১ সালে নির্মিত ছোট দুটি ভবনের একটি টিনশেডের ৫ কক্ষ বিশিষ্ট জরাজীর্ণ নাজুক টিনশেড ঘরে শিক্ষার্থীদের প্রাক প্রাথমিক, ৩য় শ্রেণির ২ টি শাখা ও ৪র্থ শ্রেণির ১ টি শাখার পাঠদান করা হয়।
আরও পড়ুন: হাতিয়ার সঙ্গে নৌ যোগাযোগ বন্ধ
বাকি ভবনটিতে শিক্ষকমন্ডলীর অফিস কক্ষ ও ৪র্থ শ্রেণির অন্য একটি শাখার ক্লাস নিয়ে আসছেন শিক্ষকরা। ভবন দুটির ফ্লোর অত্যন্ত নিচু, অতিরিক্ত লবনাক্ততার কারণে ফ্লোর ও ওয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে।
২০১৬ সালে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো প্রায় ৬’শ। এখন সেখানে দাঁড়িয়েছে ৪৩৫ জন। দিন দিন অন্যত্র চলে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
অভিভাবকদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন, এভাবে হাঁটুপানির মধ্যে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান হতে পারে না। কর্মকর্তাদের নজরে কি শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ চোখে পড়ে না?
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্বাচনমুখী হওয়ার নির্দেশ
পৌর সদরের প্রাণকেন্দ্রে এ বিদ্যালয়ে চাকরির জন্য অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে তদবির করে আসছেন শিক্ষকরা। কর্মকর্তারা তদবির ও বদলি নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। অন্যদিকে নজর দেবার সময় নেই।
৪র্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী তানভীর আলম, প্রান্তিক সাহা, অরিন্দম সাহা, ৩য় শেণীর হাবিবা, জান্নাতিসহ একাধিক শিক্ষার্থীরা বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই টিন থেকে পানি পড়ে এবং জোয়ারে আমাদের ক্লাস রুমে পানি জমে যায়। এর মধ্যেই কষ্ট করে ক্লাস করতে হয়। কবে হবে আমাদের নতুন ভবন?
সান নিউজ/এনজে