নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনা: বর্তমান করোনার শুরু থেকে গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন মিডিয়া হাউজ থেকে নানা অজুহাতে ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (৩০ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান ফটকের সামনে এ মানববন্ধনে খুবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের প্রভাষক শরীফুল ইসলাম গণমাধ্যমগুলোর প্রকাশক ও মালিকপক্ষকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, ‘গণমাধ্যমকর্মী ছাঁটাই না করে আপনারা বেতন কমিয়ে দিন, পৃষ্ঠা সংখ্যা কমিয়ে দিন, ব্যয় সংকোচ করুন। প্রয়োজন হলে আলোচনায় বসুন। কিন্তু এই অমানবিকতা বন্ধ করুন।’
প্রভাষক মাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘খুব কম গণমাধ্যমই ওয়েজবোর্ড ফলো করে। গুটি কয়েকেবাদে বেশিরভাগ গণমাধ্যমই তাদের কর্মীদের খুব কম বেতন দিয়ে থাকে। এর মধ্যে যদি তাদের চাকরিচ্যুত করা হয় তাহলে তারা তাদের পরিবার নিয়ে কোথায় যাবেন?’
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন খুবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক মামুন অর রশীদ, সহকারী অধ্যাপক ছোটন দেবনাথ, খুবি জার্নালিজম ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মতিউর রহমান, শিক্ষার্থী ইমরান ইসলাম মামুন, ইয়াছিন আহমেদ জীবু, মীর হাসিব ও মৌসুমি আফরোজ।
তারা বলেন, ‘মালিক-সম্পাদকদের বলবো, আপনার ব্যয় সংকোচন নীতি মেনে চলুন, প্রয়োজনে একদিন পত্রিকা ছাপা বন্ধ রাখুন, কিন্তু গণমাধ্যমকর্মী ছাঁটাই বন্ধ করুন। এমন অবস্থা চলতে থাকলে আমাদের মেধাবী শিক্ষার্থীরা এই পেশায় কখনোই আসতে চাইবেন না। করোনাকে অজুহাত হিসেবে ধরে মালিক-সম্পাদকরা আজ ন্যাক্কারজনকভাবে কর্মী ছাটাই করছেন। গণমাধ্যম একটি শিল্প, একে বাঁচাতে তাদের উচিত মুনাফালোভী মানসিকতা থেকে সরে আসা। গণমাধ্যমকর্মীরা জীবন ঝুঁকি রেখে কাজ করেন, কিন্তু তাদের কাজের তেমন কোনো মূল্যায়ন পান না। এই পেশায় গণমাধ্যমকর্মীরা ভাই বলে সম্বোধন করলেও আজ বিপদের সময় ভাই তার ভাইকে দূরে ঠেলে দিচ্ছেন।’
প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, ইত্তেফাকসহ বেশ কিছু প্রধান সারির মিডিয়া করোনায় পত্রিকার সার্কুলেশন কমে যাওয়া, বিজ্ঞাপন না পাওয়া, লোকসানসহ নানা অজুহাতে গণমাধ্যমকর্মীদের ছাঁটাই করে চলেছে।
সান নিউজ/ এআর