নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনা: খুলনায় পবিত্র আশুরা উপলক্ষ্যে শোক সভা করেছে আঞ্জুমান-এ-পাঞ্জাতানি ট্রাস্ট।
রোববার (৩০ আগস্ট) শোক সভায় প্রধান বক্তা ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ হুজ্জাতুল ইসলাম সৈয়দ ইব্রাহীম খলিল রাজাভী জানান, নোবেল করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে সামাজিক নিরাপত্তায় এবার শোক মিছিল বের হয়নি।
তিনি বলেন, ‘আজ পবিত্র ১০ই মহররম ৬১ হিজরীর এই দিনে কারবালার তপ্ত মরুপ্রান্তরে নানার দ্বীনকে রক্ষা করতে গিয়ে ইমাম হোসাইন (আ.) তার সঙ্গী-সাথীসহ তৃষ্ণার্ত ও ক্ষুধার্ত অবস্থায় নির্মমভাবে শাহাদাৎ বরণ করেন। কীভাবে নবীর (সা.) উম্মতই নবীর (সা.) সন্তানকে হত্যা করলো -এ জিজ্ঞাসা সব যুগের প্রত্যেক বিবেকবান মানুষের। আর এ ধরনের প্রশ্ন জাগাটাও খুব স্বাভাবিক। কারণ, ইমাম হোসাইনের (আ.) মর্মান্তিক শাহাদাৎ এক বিষাদময় ঘটনা কিংবা আল্লাহর পথে চরম আত্মত্যাগের এক নজিরবিহীন দৃষ্টান্তই শুধু নয়, এ ঘটনাকে বিশ্লেষণ করলে বড়ই অদ্ভুত মনে হবে। রাসুলুল্লাহর (সা.) তিরোধানের মাত্র ৫০ বছর অতিক্রান্ত হতে না হতেই এ হত্যাকাণ্ড চালানো হয়।’
‘পৃথিবীর ইতিহাসে আল্লাহর পথে এ পর্যন্ত যারা শাহাদাৎ বরণ করেছেন, তাদের মধ্যে হযরত ইমাম হোসাইনের (আ.) শাহাদাৎ ছিল অতুলনীয়। ইতিহাসে অনেক দুঃখজনক ঘটনাই স্মরণাতীতকাল থেকে ঘটে আসছে। কালের করালগ্রাসে সেই সকল ঘটনা ধীরে ধীরে বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যায়। কিন্তু কারবালার ঘটনা এতোটাই অনন্য যে যুগে যুগে এর স্মৃতি মানুষের মণিকোঠায় বার বার এসে ভাস্বর হয়ে ওঠে। অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে কারবালার মর্মস্পর্শী ঘটনা মানব হৃদয়কে আরো জোরে নাড়া দিয়ে যায়।’
সান নিউজ/ এআর